আবগারি দুর্নীতি মামলায় বুধবার ৩ জানুয়ারি দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে ডেকে পাঠিয়েছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট বা ইডি। কিন্তু তিনি হাজিরা দেবেন না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন।
দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর দল আম আদমি পার্টি বা আপ-এর তরফে জানানো হয়েছে, ইডি-র পাঠানো নোটিস অবৈধ এবং তার কোনও সারবত্তা নেই। শুধুমাত্র মুখ্যমন্ত্রী কেজরিওয়ালকে গ্রেফতার করার উদ্দেশ্যেই তাকে ডেকে পাঠানো হচ্ছে। তাই তিনি কোনওভাবেই তদন্তকারী সংস্থার ডাকে সাড়া দেবেন না।
এই নিয়ে তৃতীয় বারের জন্য কেন্দ্রীয় সংস্থার তলব এড়ালেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী। এর আগে ২০২৩ সালের ২ নভেম্বর এবং ২১ ডিসেম্বর ইডি ডেকে পাঠিয়েছিল তাকে। কিন্তু দু'বারের কোনও বারই হাজিরা দেননি অরবিন্দ কেজরিওয়াল।
আপ-এর দাবি, মুখ্যমন্ত্রী তদন্তে সহযোগিতা করতে প্রস্তুত হলেও তাদের আশঙ্কা কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে ব্যবহার করে তদন্ত এবং জেরার নামে তাকে গ্রেফতার করতে চাইছে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার।
"কেন নির্বাচনের ঠিক আগেই নোটিস পাঠানো হল? এটা আসলে কেজরিওয়ালকে নির্বাচনের প্রচারে বাধা দেওয়ার চেষ্টা," অভিযোগ তুলে জানিয়েছে আপ।
গত বছর, ২০২৩-এর এপ্রিল মাসে আপ সুপ্রিমো অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে ডেকে পাঠিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল আরেক কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই। তবে সিবিআই-এর তরফে তাকে 'অভিযুক্ত' বলা হয়নি। তারপরই তাকে সমন পাঠাতে শুরু করে ইডি।
ইডি-র প্রথম নোটিস পাওয়ার পর থেকেই আপ-এর তরফে দাবি করা হচ্ছিল, দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদের পরে গ্রেফতার করার উদ্দেশ্য রয়েছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট-এর। আপ-এর বেশ কয়েকজন নেতাও প্রথম থেকেই তেমন আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন।
এর আগে ২০২৩-এর ফেব্রুয়ারি মাসে আবগারি দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছিল দিল্লির প্রাক্তন উপ-মুখ্যমন্ত্রী মনীশ সিসোদিয়াকে। এছাড়া গত বছর অক্টোবর মাসে মদ কাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে আপ-এর রাজ্যসভার সংসদ সদস্য সঞ্জয় সিংকে হেফাজতে নেওয়া হয়।