ইসরাইল-হামাস যুদ্ধের পর থেকে উত্তর ও মধ্য আরব সাগর এবং এডেন উপসাগরে আন্তর্জাতিক শিপিং লেন দিয়ে চলাচলকারী বাণিজ্যিক জাহাজগুলির ওপর হামলার ঘটনা বেড়েছে।
তারই জেরে এবার আন্তর্জাতিক শিপিং লেনে নজরদারি বাড়াতে একাধিক পদক্ষেপ গ্রহণ করল ভারতীয় নৌ-বাহিনী।
রবিবার ৩১ ডিসেম্বর, ২০২৩ সালের শেষ দিনটিতে সংবাদ সংস্থাকে দেওয়া এক বিবৃতিতে নৌ-বাহিনী জানিয়েছে, ভারত মহাসাগরে নতুন করে নিরাপত্তা ঝুঁকি তৈরি হওয়ায় তারা কোস্ট গার্ড-এর সঙ্গে যৌথভাবে নিরাপত্তা তদারকি শুরু করেছে।
এই কাজে লাগানো হচ্ছে ডেস্ট্রয়ার এবং ফ্রিগেট সমন্বিত নেভাল টাস্ক গ্রুপগুলিকে। সামুদ্রিক নিরাপত্তা অভিযান পরিচালনা করতে এবং কোনও ঘটনা ঘটলে সাহায্য করবে এই টাস্ক গ্রুপগুলি।
ডেস্ট্রয়ার এবং ফ্রিগেট ছাড়াও এবার থেকে জলপথের সুরক্ষায় ভারতীয় নৌ-বাহিনীর মানবহীন আকাশযান (ইউএভি) এবং সামুদ্রিক বিমানের নজরদারিও শুরু করা হয়েছে। এছাড়াও দূরপাল্লার এয়ারক্রাফ্ট পি ৮১-ও নজরদারি চালাবে।
সেনা সূত্রের খবর, সাগরে জলদস্যুদের শেষ আক্রমণের ঘটনাটি ঘটে গত ২৪ ডিসেম্বর। ভারতীয় উপকূলরেখা থেকে ৪০০ কিলোমিটার দূরে ড্রোনের সাহায্যে ভারতের বাণিজ্যিক জাহাজ এমভি কেম প্লুটো-র ওপর ড্রোন হামলা চালিয়েছিল জলদস্যুরা।
জাহাজটিতে ছিলেন ২০ জন ভারতীয় এবং ভিয়েতনাম-এর একজন নাগরিক। সে সময় কোস্ট গার্ড জাহাজ বিক্রমের সুরক্ষায় দু'দিন পর মুম্বই বন্দরে পৌঁছেছিল জলদস্যুদের হাতে আক্রান্ত এমভি কেম প্লুটো।
সংবাদ সংস্থাকে দেওয়া বিবৃতিতে নৌ-বাহিনী জানিয়েছে, শুধু এই একটি হামলার ঘটনায় নয়, গত কয়েক সপ্তাহে এডেন উপসাগর এবং মধ্য/উত্তর আরব সাগরে আন্তর্জাতিক শিপিং লেন দিয়ে চলাচলকারী বাণিজ্যিক জাহাজগুলির ওপর জলদস্যুদের আক্রমণ বেড়েছে।
গত ৭ অক্টোবর থেকে ইসরাইল-হামাস যুদ্ধ শুরু হয়। তারপর থেকেই সাগরে বাণিজ্যিক শিপিং লেনে ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্র হামলার ঘটনা বেড়েছে বলে জানিয়েছে ভারতীয় নৌ বাহিনী।