নতুন বছরের প্রথম দিন সোমবার ১ জানুয়ারি আবার অশান্ত হয়ে উঠল কুকি ও মেইতেই - দুই জনজাতি গোষ্ঠীর দাঙ্গা বিধ্বস্ত ভারতের উত্তর-পূর্বের রাজ্য মণিপুর।
দুষ্কৃতীদের হামলায় এদিন প্রাণ হারিয়েছেন কমপক্ষে ৪ জন। গুরুতর আহত আরও অনেকে। এই ঘটনার পিছনে কারা জড়িত, তা এখনও জানা যায়নি। মণিপুরের পাঁচটি উপত্যকা জেলায় নতুন করে কার্ফু জারি করেছে সে রাজ্যের সরকার।
সোমবারের ঘটনায় থৌবাল জেলার বাসিন্দাদের দাবি, একদল লোক মুখে কাপড় ঢাকা দিয়ে এসে এলোপাথাড়ি গুলি ছুড়তে শুরু করে। তারা কারা, তা বলতে পারছেন না ওই জেলার মানুষেরা।
হামলার ঘটনায় আহতদের সকলকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার আগেই চার জনের মৃত্যু হয়। বাকিরা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, ঘটনার খবর পেয়েই মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিংহ দলের বিধায়ক ও মন্ত্রীদের নিয়ে জরুরি বৈঠকে বসেন। সেইসঙ্গে রাজ্যবাসীকে শান্তি বজায় রাখার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। দোষীদের দ্রুত খুঁজে বের করে শাস্তি দেওয়া হবে বলেও আশ্বাস দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
এক ভিডিও বার্তায় এন বীরেন সিংহ বলেছেন, "নিরীহ মানুষ হত্যার ঘটনায় আমি গভীর দুঃখ প্রকাশ করছি। অপরাধীদের ধরতে আমরা বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করেছি। আমি হাতজোড় করে লিলং (যেখানে ঘটনাটি ঘটেছে) বাসিন্দাদের কাছে অপরাধীদের খুঁজে বের করতে সরকারকে সাহায্য করার জন্য আবেদন করছি।"
সরকারি সূত্রে খবর, এই ঘটনায় ফের উত্তেজনা ছড়ানোর আশঙ্কা করা হচ্ছে। সেইজন্যই থৌবাল, পূর্ব ও পশ্চিম ইম্ফল, বিষ্ণুপুর এবং কাকছিং জেলায় কার্ফু জারি করা হয়েছে।
গত শনিবার ২৯ ডিসেম্বর শনিবার ৩০ ডিসেম্বর থেকে নতুন করে উত্তেজনা ছড়িয়েছে মণিপুরে। শনিবার ভারতীয় সময় বিকেলে প্রথমে পুলিশের উপর হামলা চালায় জঙ্গিরা। মণিপুর-ইম্ফল সড়কে পুলিশের কনভয়ের উপর হামলা চালানো হয়। সেদিন রাত্রেই মোরেক-এ পুলিশের ব্যারাকে দ্বিতীয় হামলার ঘটনা ঘটে।