ভারতীয় মুদ্রায় আনুমানিক ৪০০ কোটি কর বাকি অনলাইন খাবার ডেলিভারি সংস্থা জোম্যাটো-র। এই ঘটনায় এবার জোম্যাটোকে নোটিস পাঠানো হল।
গুড অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্যাক্স (জিএসটি)-এর আওতায় এই নোটিস পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছে ডিরেক্টোরেট জেনারেল অফ গুডস অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্যাক্স ইন্টেলিজেন্স বা ডিজিজিআই। শুধু জোম্যাটো নয় আরেক অনলাইন ফুড ডেলিভারি সংস্থা সুইগি-কেও একই নোটিস পাঠানো হয়েছে।
এই নোটিসে স্পষ্ট বলা হয়েছে, ডেলিভারি চার্জ হিসেবে গ্রাহকদের থেকে যে টাকা নেওয়া হয় তা পরিষেবা করের আওতায় পড়ে। জোম্যাটো বা সুইগি-র মতো সংস্থাগুলি সেই করের টাকা শোধ করেনি। দুই সংস্থা মিলিয়ে বাকি করের পরিমাণ ভারতীয় মুদ্রায় ১০০০ কোটির বেশি।
২০১৯ সালের অক্টোবর থেকে ২০২২ সালের মার্চ মাস পর্যন্ত জোম্যাটো ডেলিভারি চার্জ বাবদ পরিষেবা কর দেয়নি বলে অভিযোগ। সেই বকেয়া কর ও জরিমানা বাবদ ৪০১ কোটি টাকা জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
জোম্যাটো জানিয়েছে সেই করের টাকা দিতে দায়বদ্ধ নয় কোম্পানি। কোম্পানির তরফে দেওয়া লিখিত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, "গ্রাহকদের থেকে যে ডেলিভারি চার্জ বাবদ টাকা নেওয়া হয়, সেটা কোম্পানি ডেলিভারি পার্টনারদের তরফে নিয়ে থাকে। ডেলিভারি পার্টনাররা গ্রাহকদের পরিষেবা প্রদান করে, সংস্থা নয়। ডেলিভারি বাবদ যে টাকা নেওয়া হয়, সেটা ডেলিভারি পার্টনারদেরকে দেওয়া হয়।"
জোম্যাটো আরও জানিয়েছে, "সবদিক ভাবনাচিন্তা করেই শোকজ নোটিসকে চ্যালেঞ্জ করার সিদ্ধান্ত। আইন এবং কর বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নেওয়া হয়েছে।"
