বৃহস্পতিবার কাতারের আপিল আদালত গুপ্তচরবৃত্তির দায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ভারতীয় নৌবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত আট কর্মকর্তার সাজা কমিয়েছে। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় একথা জানিয়েছে।
মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি এক বিবৃতিতে বলেছেন, বিস্তারিত রায় এখনো পাওয়া যায়নি। তিনি বলেন, "পরবর্তী পদক্ষেপের বিষয়ের সিদ্ধান্ত নিতে আমরা লিগ্যাল টিমের পাশাপাশি তাদের পরিবারের সদস্যদের সাথে নিবিড় যোগাযোগ রাখছি।"
বাগচি বলেন, কাতারে ভারতের রাষ্ট্রদূত ও অন্যান্য কর্মকর্তারা পরিবারের সদস্যদের সাথে কাতারের আদালতে উপস্থিত ছিলেন। তিনি বলেন, নয়াদিল্লি কনস্যুলার ও আইনি সহায়তা প্রদান অব্যাহত রাখবে। তিনি বলেন, "আমরা কাতারের কর্তৃপক্ষের সাথে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা চালিয়ে যাবো।"
কাতার কর্তৃপক্ষ বিচার চলাকালীন নয়াদিল্লির কনস্যুলারের সাথে ওই আটজন ভারতীয় নাগরিককে যোগাযোগ করতে দিয়েছে।
বাগচি বলেন, মামলার গোপনীয় ও সংবেদনশীল প্রকৃতির কারণে আর কোনো মন্তব্য করা সম্ভব হয়নি।
ভারতীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঐ আটজন তেল সমৃদ্ধ উপসাগরীয় দেশটির একটি পরামর্শক সংস্থা আল দাহরায় কাজ করতেন। সে সময় তাদের বিরুদ্ধে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগ আনা হয়। আল দাহরা কাতারের সরকারকে সাবমেরিন অধিগ্রহণ বিষয়ক পরামর্শ দিয়ে থাকে।
কাতার সরকারের গণমাধ্যম কার্যালয় বৃহস্পতিবারের রায়ের বিষয়ে মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানায়।
ডিসেম্বরে দুবাইতে কপ২৮ শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল-থানির সাথে সাক্ষাত করেন। দুই নেতা মামলা নিয়ে আলোচনা করেছেন কি না তা স্পষ্ট নয়।
লক্ষ লক্ষ ভারতীয় উপসাগরীয় অঞ্চলে বসবাস করে এবং কাজ করে। তাদের মধ্যে বড় একটি অংশ সেখানে আধা-দক্ষ বা অদক্ষ শ্রমিক হিসেবে কাজ করে। তারা ভারতের জন্য আয়ের একটি গুরুত্বপুর্ণ অংশ এবং তারা সংযুক্ত আরব আমিরাতের অর্থনীতির সাফল্যেও অবদান রাখে।