ফ্রান্সের শাম্পেইনে একটি ছোট বিমানবন্দরে পাচারের শিকার সন্দেহে ৩০০ ভারতীয় নাগরিককে আটকে রাখা হয়েছে। তাদেরকে আরও কিছুদিন আটকে রাখা হবে কী না, সে বিষয়ে আজ রবিবার দেশটির বিচারকরা সিদ্ধান্ত নেবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
মধ্য আমেরিকার উদ্দেশ্যে গমনরত এই যাত্রীদের প্যারিস-ভাতরি বিমানবন্দরে বৃহস্পতিবার থেকে আটকে রাখা হয়েছে। এর আগে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে পুলিশ নাটকীয় অভিযানের মাধ্যমে মানব পাচারের এই সম্ভাব্য পরিকল্পনা বানচাল করে বলে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।
মারনে অঞ্চলের প্রশাসন জানিয়েছে, আটক যাত্রীরা সারাদিন ধরে বিচারকদের সম্মুখীন হয়েছেন। বিমানবন্দরে তাদের আটকাদেশ বর্ধিত করা হবে কি না, সে বিষয়ে বিচারকরা সিদ্ধান্ত নেবেন। তাদেরকে যদি আর আটকে না রাখা যায়, তাহলে তারা দেশত্যাগ পারবেন।
যাত্রীদের মধ্যে শিশুসহ পুরো পরিবারও রয়েছে। তাদের মধ্যে সবচেয়ে ছোট শিশুটির বয়স মাত্র ২১ মাস। স্থানীয় নাগরিক সুরক্ষা এজেন্সির দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, যাত্রীদের মাঝে কয়েকজন অপ্রাপ্তবয়স্ক শিশুও আছে, যাদের সঙ্গে কোনো পূর্ণবয়স্ক অভিভাবক বা সঙ্গী নেই।
প্যারিসের কৌসুলির কার্যালয়ের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, সংগঠিত অপরাধী চক্রের মানব পাচার পরিকল্পনার বিরুদ্ধে পরিচালিত বিশেষ তদন্তের অংশ হিসেবে দুই যাত্রীকে আটক করা হয়েছিল।
কোন ধরনের পাচারের অভিযোগ আনা হয়েছে, বা যাত্রীদের শেষ গন্তব্য যুক্তরাষ্ট্র ছিল কি না, সে বিষয়ে কৌসুলিরা মন্তব্য করতে রাজি হননি। এ বছর যুক্তরাষ্ট্র-মেক্সিকো সীমান্ত পেরিয়ে বহু ভারতীয় নাগরিক যুক্তরাষ্ট্রে এসেছেন।
প্রতীকবিহীন এ-৩৪০ বিমানটি প্রকৃতপক্ষে লিজেন্ড এয়ারলাইন্সের একটি চার্টার ফ্লাইট, যেটি সংযুক্ত আরব আমিরাতের ফুজাইরাহ বিমানবন্দর থেকে মানাগুয়া ও নিকারাগুয়া যাচ্ছিল। ফ্লাইটের ১৫ ক্রু সদস্যকে জিজ্ঞাসাবাদের পর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে বলে রোমানিয়া-ভিত্তিক এই এয়ারলাইন্সের এক আইনজীবী জানান।
মারনে প্রশাসনের এক কর্মকর্তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, যাত্রীরা শুরুতে বিমানেই অবস্থান করছিলেন। তখন টারম্যাক ঘিরে রেখেছিল পুলিশের সদস্যরা। পরবর্তীতে বিমানবন্দরের মূল হলকক্ষে এনে তাদের ঘুমানোর ব্যবস্থা করা হয়।
২০২২ সালে ৩,০০০-এর কম ভারতীয় অভিবাসন প্রত্যাশী মেক্সিকো হয়ে যুক্তরাষ্ট্রে এলেও এ সংখ্যাটি এ বছরের জানুয়ারি থেকে নভেম্বরের মধ্যে বেড়ে ১১,০০০এর বেশি হয়েছে বলে জানিয়েছে মেক্সিকোর অভিবাসন সংস্থা।