রবিবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান বলেছেন, গাজার ‘বিপর্যয়কর’ স্বাস্থ্য পরিস্থিতির উন্নতি করা প্রায় অসম্ভব। যদিও বোর্ড গাজায় আরও চিকিৎসা সুবিধা লভ্য করার জন্য ঐকমত্যের ভিত্তিতে ডব্লিউএইচও-র জরুরি একটি প্রস্তাব পাস করেছে।
আফগানিস্তান, কাতার, ইয়েমেন এবং মরক্কো জরুরি এই পদক্ষেপ প্রস্তাব করেছে। এর অধীনে গাজায় স্বাস্থ্যসেবা কর্মী এবং ওষুধের প্রবেশ চাওয়া হয়েছে। এটি নিশ্চিত করতে ডব্লিউএইচও-কে স্বাস্থ্যসেবা কর্মী এবং রোগীদের বিরুদ্ধে হওয়া সহিংসতা নথিভুক্ত করতে হবে এবং হাসপাতাল পুনর্নিমাণের জন্য তহবিল নিশ্চিত করতে হবে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালক টেড্রোস আধানম ঘ্রেব্রেয়েসাস বলেন, “আমি আপনাদের খোলামেলাভাবেই বলিঃ বর্তমান পরিস্থিতিতে এই কাজগুলো করা প্রায় অসম্ভব।”
গাজায় কাজ করা ২৫টি দলের সমন্বয়ে গঠিত হয়েছে প্যালেস্টিনিয়ান মেডিকেল রিলিফ কমিটি ইউনিয়ন। এটির প্রধান এবং ফিলিস্তিনি রাজনীতিবিদ মোস্তফা বারঘৌতি বলেছেন, “গাজার অর্ধেক মানুষ অনাহারে দিন কাটাচ্ছে।”
তিনি বলেন সাড়ে তিন লাখ মানুষ সংক্রামক রোগে আক্রান্ত হয়েছে, যার মধ্যে ১ লাখ ১৫ হাজার মানুষ গুরুতর শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণে আক্রান্ত হয়েছে। গরম কাপড়, কম্বলের অভাব রয়েছে এবং বৃষ্টি থেকে মানুষ সুরক্ষা পাচ্ছে না।
তিনি বলেন, "কাটা ঘায়ে নুনের ছিটার মত ৪৬ হাজার আহত ব্যক্তির সঠিক চিকিৎসা করা যাচ্ছে না কারণ বেশিরভাগ হাসপাতাল কাজ করছে না।"
৭ অক্টোবর হামাসের মারাত্মক হামলার পর ইসরাইলের প্রতিক্রিয়ার অংশ হিসেবে গাজার হাসপাতালগুলোতে বোমাবর্ষণ করা হয়। কিছু হাসপাতাল অবরোধ করা হয়েছে, কিছুতে অভিযান চালানো হয়েছে। যেগুলো খোলা আছে সেগুলোতে মৃত মানুষ আর আহতদের আগমনের সংখ্যা দেখে আশ্চর্য হতে হয়। কখনো কখনো চেতনানাশক ছাড়াই চিকিৎসা চালিয়ে যেতে হচ্ছে।
ডব্লিউএইচও-র একটি ডেটাবেস অনুযায়ী, কোনো পক্ষকে দোষারোপ না করেই বলা যায়, ৭ অক্টোবর থেকে ফিলিস্তিনি অঞ্চলে স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রগুলোতে ৪৪৯টি হামলা চালানো হয়েছে।
ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্যমন্ত্রী মাই আল-কাইলা ওষুধের সংকটের জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছেন। ভিডিও লিংকের মাধ্যমে হওয়া ডব্লিউএইচও-র এক বৈঠকে তিনি বলেছেন, পরিস্থিতির ভয়াবহতা চরম।
যুক্তরাষ্ট্র ১৯৯৭ সালে হামাসকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে চিহ্নিত করে। ইসরাইল, মিশর, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং জাপানও হামাসকে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হিসেবে বিবেচনা করে।