প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর পর এবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের মানহানির অভিযোগে হওয়া মামলায় কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীকে তলব করল উত্তর প্রদেশের একটি আদালত। প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতিকে আগামী ১৬ ডিসেম্বর সুলতানপুরের নিম্ন আদালতের এক বিচারক হাজিরা দিতে বলেছেন।
রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি কর্ণাটকের বেঙ্গালুরুতে একটি নির্বাচনী সভায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ সম্পর্কে আপত্তিজনক কথা বলেছেন। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী খুনের ঘটনায় যুক্ত এমন অভিযোগও করেন রাহুল।
এই ঘটনাটি ২০১৮ সালের। রাহুল গান্ধী তখন কংগ্রেসের সভাপতি ছিলেন। জনৈক বিজয় মিশ্র তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। সোমবার ২৭ নভেম্বর মিশ্রর আইনজীবী আদালতে এই প্রসঙ্গ উত্থাপন করে দ্রুত শুনানির আর্জি জানান। বিচারক ১৬ ডিসেম্বর রাহুলকে সশরীরে হাজিরার নির্দেশ দিয়েছেন।
বিহারের বিজেপি নেতা সুশীলকুমার মোদীর দায়ের করা পাটনা আদালতের মামলায় বিচারক রাহুল গান্ধীকে সশরীরে হাজিরা থেকে ছাড় দিয়েছেন। সুশীল মোদী তার বিরুদ্ধে মোদী পদবিধারীদের অবমাননার মামলা করেছেন।
চলতি বছরের মার্চে গুজরাটের সুরাত আদালত বিজেপি নেতার দায়ের করা মামলায় রাহুল গান্ধীকে দু’ বছরের কারাবাসের সাজা দেয়। ফলে সঙ্গে সঙ্গে রাহুলের লোকসভার সদস্যপদ চলে যায়। পরে সুপ্রিম কোর্ট তাকে জামিন দেওয়ায় তিনি সদস্যপদ ফিরে পান। তবে তার সাজা বহাল আছে। মামলা আপাতত চলবে। অমিত শাহের মানহানির মামলায় আদালতের রায় জানার জন্য অপেক্ষা করতে হবে। যদিও ভারতের আইন অনুযায়ী একজনের মানহানির মামলা অন্য কেউ করতে পারে না। তাকেই করতে হয়। অমিত শাহ সম্পর্কে রাহুলের মন্তব্যে একাধিক বিজেপি নেতার মানহানি এবং আদালতের সম্মানহানি হয়েছে বলে মামলা দায়ের হয়েছে। অমিত শাহের বিরুদ্ধে গুজরাত দাঙ্গার প্রসঙ্গ টেনে আক্রমণ করেছিলেন রাহুল গান্ধী।