সোমবার নিউইয়র্কে একটি জালিয়াতি মামলায় ডনাল্ড ট্রাম্প কাঠগড়ায় সাক্ষ্য দিয়েছেন যে তার কোম্পানি তার অনেক সম্পদের সঠিক পরিমাণ জানায়নি।
যুক্তরাষ্ট্রের এই প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট বলেন, তার কোম্পানি ফ্লোরিডায় তার মার-এ-লাগো এস্টেট এবং ডোরাল গলফ কোর্সের মূল্য কমিয়ে দেখিয়েছে এবং অন্যান্য সম্পদের মধ্যে তার ট্রাম্প টাওয়ার অ্যাপার্টমেন্টের মূল্য অনেক বাড়িয়ে দেখিয়েছে। তারা চেষ্টা করেছে আর্থিক মূল্যের অনুমানের গুরুত্ব কমিয়ে আনতে। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা বলেছেন, এটি ভালো অর্থায়নের সুবিধা আদায়ের জন্য করা হয়েছে।
বিচারক আর্থার এনগোরন ইতোমধ্যেই এই এস্টিমেশনকে জালিয়াতি বলে রায় দিয়েছেন। নিউইয়র্কের আইনজীবীরা তাদের মামলায় যুক্তি দিয়েছিলেন, এস্টিমেটগুলো ঋণদাতা এবং বীমাকারীদের বিভ্রান্ত করেছে, কিন্তু ট্রাম্পের ১০ কোটি ডলার উপার্জন হয়েছে এবং তার সম্পদের মূল্য ২০০ কোটি ডলার বেশি দেখানো হয়েছে।
মামলাটির ব্যাপারে ট্রাম্প বলেছেন, এটি তার বিরুদ্ধে চলমান “উইচ হান্ট”। তিনি এনগোরন এবং নিউইয়র্কের অ্যাটর্নি জেনারেল লেটিশিয়া জেমসকে তার বিরুদ্ধে রাজনৈতিকভাবে পক্ষপাতদুষ্ট বলে অভিযোগ করেছেন।
২০২৪ সালের রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট প্রার্থী মনোনয়নের জন্য অগ্রগামী চারটি ফৌজদারি মামলার বিপরীতে এই দেওয়ানী বিচারে তাকে কারান্তরীণ করার সম্ভাবনা নেই। তিনি ক্ষমতায় ফেরত আসতে চান।
আসলে ট্রাম্প মামলাগুলোকে তার প্রচারাভিযানের অনুদানের জন্য ব্যবহার করে এগুলোর সুবিধা নেয়ার চেষ্টা করেছেন। তিনি যুক্তি দিয়েছেন, তাকে তার রাজনৈতিক মতামতের জন্য টার্গেট করা হচ্ছে।
কিন্তু এই দেওয়ানী জালিয়াতির মামলা ট্রাম্প এবং তার ব্যবসার ভাবমূর্তিকে ক্ষুণ্ণ করতে পারে। এ ভাবমূর্তি কয়েক দশক ধরে গড়ে উঠেছে। একজন গ্ল্যামারাস বিলিওনেয়ার যার বিলাসবহুল রিসোর্ট এবং প্রিমিয়াম গলফ কোর্স রয়েছে, সে হিসেবে তার সুনাম রয়েছে।
বিচার কার্যক্রম মূলত ডিসেম্বরের প্রথম দিক পর্যন্ত চলার কথা ছিল। তবে রাষ্ট্র এই সপ্তাহে চূড়ান্ত সাক্ষীদের ডাকার পর এটি শীঘ্রই শেষ হতে পারে। বিবাদী পক্ষ কতজন সাক্ষী ডাকবে তা স্পষ্ট নয়।
ট্রাম্পের মেয়ে ইভাঙ্কা বুধবার সাক্ষ্য দেবেন। তবে তিনি এই মামলার বিবাদী নন।