রবিবার ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি বলেছেন, গাজায় ইসরাইলের চলমান বোমাবর্ষণ পদক্ষেপ নিতে “সবাইকে বাধ্য করতে পারে”। ইসরাইল-হামাস সংঘাত শুরু হওয়ার পর থেকে ইসলামিক প্রজাতন্ত্রের জারি করা সর্বসাম্প্রতিক সতর্কতায় তিনি একথা বলেন।
ইসরাইলের কর্মকর্তারা বলেছেন, ৭ অক্টোবর হামাসের বন্দুকধারীরা সীমান্ত পেরিয়ে ১৪০০ জনের বেশি মানুষকে হত্যা করার পর থেকে ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে হামলা চালাচ্ছে ইসরাইল।
এরপর থেকে গাজায় ৮ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। এদের অর্ধেকই শিশু। হামাস-চালিত ওই উপত্যকার স্বাস্থ্য মন্ত্রক একথা জানায়। দরিদ্র এই ভূখণ্ডে ২৪ লাখ মানুষ বাস করে।
রাইসি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্স (পূর্ব নাম টুইটার)-এ বলেছেন, "জায়নিস্ট শাসকের অপরাধগুলো সীমা অতিক্রম করেছে এবং এটি প্রত্যেককে পদক্ষেপ নিতে বাধ্য করতে পারে।"
তিনি বলেন, “ওয়াশিংটন আমাদের কিছু না করতে বলে, কিন্তু তারা ইসরাইলকে ব্যাপক সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে।”.
যদিও এটি তাৎক্ষণিকভাবে স্পষ্ট নয় যে, তিনি কীসের কথা বলেছেন; তবে গাজা সংঘাত শুরু হওয়ার পর থেকে ইরাক এবং সিরিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের বাহিনীর ওপর একের পর এক আক্রমণের পাশাপাশি লেবানন সীমান্তে হিজবুল্লাহ এবং ইসরাইলের বাহিনীর মধ্যে গুলি বিনিময় বৃদ্ধি পেয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্র ১৯৯৭ সালে হামাসকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে চিহ্নিত করে। ইসরাইল, মিশর, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং জাপানও হামাসকে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হিসেবে বিবেচনা করে।
ইরান হামাসকে আর্থিক এবং সামরিকভাবে সমর্থন করে। তারা ৭ অক্টোবরের হামলাকে সফল বলে প্রশংসা করেছে।
তবে দেশটি জোর দিয়ে বলেছে, তারা হামলার সাথে জড়িত ছিল না। ইসরাইলি কর্তৃপক্ষের মতে, ওই হামলায় ২৩০ জনকে জিম্মি করা হয়েছিল।
রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা আইআরএনএ জানিয়েছে, শনিবার ইরানের প্রেসিডেন্ট আল জাজিরাকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, "ইরান প্রতিরোধ গোষ্ঠীগুলোকে সমর্থন করাকে কর্তব্য মনে করে, তবে …… প্রতিরোধ গোষ্ঠীগুলো তাদের মতামত, সিদ্ধান্ত এবং কর্মে স্বাধীন।"