ঘুমন্ত কৃষিপ্রধান শহরগুলির উপর হামাস জঙ্গি গোষ্ঠীর তাণ্ডবের পর দুই সপ্তাহের বেশি সময় পেরিয়ে গেছে। এদিকে, বহু ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু সরকারের উপর ক্ষিপ্ত। শুধুমাত্র হামলা রুখতে না পারার জন্য এই ক্ষোভ নয়, বরং হামলা-পরবর্তী সময়ে মানুষের সাহায্যে এগিয়ে আসতে ব্যর্থ হয়েছে এই সরকার।
ইসরাইলি সেনাবাহিনী গাজার উপর বিরতিহীন বিমান হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। সেই হামলায় নিহত হয়েছে হাজার হাজার ফিলিস্তিনি। সম্ভাব্য স্থল আক্রমণের জন্য লক্ষাধিক ইসরাইলি সৈন্য জড়ো হচ্ছে। এমন একটা সময়ে সরকারের ভেতরের কোন্দল এবং দেশের মধ্যে যাদের সাহায্যের প্রয়োজন তাদের কাছে পৌঁছোতে পারছে না সরকার। সেই আতঙ্কিত জীবিতরা নিজেরাই নিজেদের শোকে কাতর। স্বেচ্ছাসেবীরা যাদের অনেকে আগে এই সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়েছে , তারাই উদ্ধারের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
তেল আবিব বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও ক্লিনিকাল মনোবিদ রুভি দার বলেন, “এ বিষয়ে স্পষ্ট হতে হবে। এই সরকার পুরোপুরিই অযোগ্য।” প্রসঙ্গত, বাড়ি থেকে সরিয়ে আনা জীবিতদের কাউন্সেলিং করছেন তিনি।
তিনি আরও বলেন,“উদ্বাস্তুরা এখন যে ধরনের সাহায্য পাচ্ছে তা একেবারেই প্রাথমিক স্তরের। সরকার কিছুই করছে না।” তিনি বলেন, এমনকি স্বেচ্ছাসেবীদের হোটেল কক্ষের ভাড়া মেটাচ্ছে অলাভজনক গোষ্ঠীগুলি।
এই হাহাকারের পিছনে রয়েছে নেতানিয়াহু ও তাঁর চরম দক্ষিণপন্থী সরকারের দীর্ঘমেয়াদি ও বিতর্কিত পরিকল্পনা। দেশের বিচারব্যবস্থার ক্ষমতাকে ব্যাপকভাবে খর্ব করতে চেয়েছেন তাঁরা। এর ফলে কয়েক মাস ধরে প্রতিবাদ চলছে।
অনেকে বিশ্বাস করেন, শীর্ষ আদালতকে আক্রমণ করার দিকে নজর দিতে গিয়ে এই সরকার প্রাথমিক কর্মকাণ্ডকে অবহেলা করেছে। নেতানিয়াহু সরকারের অভিযোগ,সুপ্রিম কোর্ট উদারপন্থী ও হস্তক্ষেপবাদী।
ইসরাইলের হিস্টারড্রট ট্রেড ইউনিয়নের প্রধান আর্নন বার ডেভিড আর্মি রেডিও-কে বলেছেন, “সরকারি দফতরগুলি এক বছর ধরে কোনও কাজ করছে না। ফলত, জরুরিকালীন পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে তারা পারছে না। গোটা এক বছর তারা ভুলভাল কাজে নষ্ট করেছে।”