ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে আগ্রাসন বন্ধ করতে ব্যর্থ হলে আরও উত্তেজনা বাড়বে বলে ইসরাইলকে সতর্ক করেছে ইরান। ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এই অঞ্চলের অন্যান্য গোষ্ঠীগুলি হস্তক্ষেপ করতে প্রস্তুত। এই দেশের আধা-সরকারি সংবাদ সংস্থা ফার্স রবিবার এমনটাই জানিয়েছে।
হোসেইন আমিরাব্দোল্লাহিয়ানকে বলতে শোনা গেছে, “জায়োনিস্ট আগ্রাসন বন্ধ না হলে এই অঞ্চলের সমস্ত দলের হাত বন্দুকের ট্রিগার ছুঁয়ে রয়েছে।”
ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু “হামাসকে ধ্বংস” করার অঙ্গীকার করেছেন রবিবার। তাঁর সামরিক বাহিনী ইসলামিস্ট জঙ্গিদের খোঁজে গাজা ভূ-খণ্ডের দিকে এগোনোর প্রস্তুতি নিয়েছে। ইসরাইলের সীমান্ত শহরগুলিতে এই জঙ্গি গোষ্ঠীর ভয়াবহ তাণ্ডবে বিশ্ব স্তম্ভিত।
ইরানের শীর্ষ নেতা সুপ্রিম লিডার আয়াতোল্লাহ আলি খামেনেই মঙ্গলবার বলেন, ইসরাইলের উপর জঙ্গি গোষ্ঠী হামাসের হামলার সঙ্গে তেহরান যুক্ত নয়। তবে, তিনি এই হামলাকে ইসরাইলের “অপূরণীয়” সামরিক ও গোয়েন্দা বিভাগীয় পরাজয় বলে অভিহিত করেছেন।
হামাসকে অস্ত্র দিয়ে সহিংসতায় উস্কানি দেওয়ার দায়ে ইরানের ধর্মীয় শাসকদের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরে অভিযোগ করে আসছে ইসরাইল। তেহরান জানিয়েছে, জঙ্গি গোষ্ঠী হামাসকে তারা নৈতিক ও আর্থিক সাহায্য দিয়ে থাকে। উল্লেখ্য, গাজা ভূ-খণ্ড নিয়ন্ত্রণ করে হামাস গোষ্ঠীই।
আমিরাব্দোল্লাহিয়ান গত সপ্তাহে অভিযোগ করেছিলেন যে, গাজা ভূখণ্ড অবরোধ করে ইসরাইল “গণহত্যা” ঘটাতে চাইছে। তিনি বলেন, গাজার উপর হামলা মধ্যপ্রাচ্যে “প্রতিরোধের নতুন দ্বার খুলে দেবে।”
যুক্তরাষ্ট্র ১৯৯৭ সালে হামাসকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে চিহ্নিত করে। ইসরাইল, মিশর, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং জাপানও হামাসকে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হিসেবে বিবেচনা করে।