মঙ্গলবার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ইসরাইলের ওপর জঙ্গি গোষ্ঠী হামাসের হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। এই হামলায় কমপক্ষে ১৪ জন আমেরিকান নাগরিকসহ শত শত বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছে।
এর আগে বাইডেন এবং ভাইস প্রেসিডেন্ট কামালা হ্যারিস ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সাথে সেখানকার পরিস্থিতি নিয়ে ফোনে আলোচনা করেছেন। হামলার পরে ইসরাইলকে সমর্থন করার জন্য বাইডেন এবং তার অন্যান্য সহযোগীরা যে পদক্ষেপগুলো নিয়েছিলেন সেগুলোর কথা জানিয়েছেন তিনি। বাইডেন নিরাপরাধ বেসামরিক নাগরিকদের ওপর জঙ্গি হামলাকে "অসুস্থ" কার্যক্রম বলে অভিহিত করেন।
“আমাদের হৃদয় দুমড়ে-মুচড়ে যেতে পারে, কিন্তু আমাদের সংকল্প পরিষ্কার।” তিনি আরও বলেন, “এখানে সন্দেহের কোনো অবকাশ নেই। যুক্তরাষ্ট্র ইসরাইলের পাশে আছে। আমরা নিশ্চিত করবো যে ইহুদি জাতি এবং গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ইসরাইল আজ, আগামীকাল আত্মরক্ষা করতে পারে যেমনটা আমরা সবসময় করেছি।”
হামাস আক্রমণ শুরু করার পর থেকে বাইডেন তার প্রকাশ্য মন্তব্য এবং বিবৃতিতে বারবার হামাসের হামলার ব্যাপকতা এবং বর্বরতার বিষয়ে তার বেদনার কথা বলেছেন। স্থল, সমুদ্র এবং আকাশপথে হামাসের হামলা ইসরাইল এবং যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দাদের হতবাক করেছে। এই হামলায় শত শত ইসরাইলি নিহত হয়েছে এবং আরও অনেক ইসরাইলি আহত হয়েছে।
গাজা উপত্যকায় ইসরাইলের পালটা হামলার ফলে অবরুদ্ধ ১৪১-বর্গমাইল এলাকায় শত শত ফিলিস্তিনি নিহত ও আহত হয়েছে। এটি বিশ্বের অন্যতম দরিদ্র্তম অঞ্চল। ইসরাইল গাজায় বিমান হামলা চালায় এবং কয়েক হাজার ফিলিস্তিনি জাতিসংঘের আশ্রয় কেন্দ্রে পালিয়ে যায়। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
সোমবার হোয়াইট হা্টজ নিশ্চিত করেছে, তারা ইতোমধ্যে ইসরাইলকে অতিপ্রয়োজনীয় যুদ্ধাস্ত্র এবং সামরিক সরঞ্জাম সরবরাহ করা শুরু করেছে। তারা আরও জানায়, পেন্টাগন হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধে তার মিত্রকে দ্রুত আরও কী প্রেরণ করা যেতে পারে দেখার জন্য তাদের তালিকা পর্যালোচনা করছে।
ইসরাইল চাইলে যাতে তাদের বিমান সহায়তা বা দূরপাল্লার বিকল্প অস্ত্র সরবরাহ করা যায় সেজন্য রণতরী ফোর্ড ক্যারিয়ার স্ট্রাইক গ্রুপটি পূর্ব ভূমধ্যসাগরে পৌঁছেছে।