ভারতের উত্তর সীমান্তে লাদাখ অটোনমাস হিল কাউন্সিলের ভোটে পরাজিত হল বিজেপি। গত ৪ অক্টোবর, বুধবার সেখানে ২৬টি আসনে ভোট নেওয়া হয়েছিল। রবিবার ৮ অক্টোবর গণনা হয়। ২৬টি আসনের মধ্যে বিজেপি মাত্র দু'টি আসনে জিতেছে। দু'টিতে জিতেছে নির্দল প্রার্থীরা। বাকি বাইশটি আসনের মধ্যে ন্যাশনাল কনফারেন্স ১২টি এবং কংগ্রেস ১০টিতে জিতেছে।
২০১৯-এ কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদার ৩৭০ অনুচ্ছেদ নরেন্দ্র মোদী সরকার প্রত্যাহারের পর এই প্রথম লাদাখে ভোট হল। ৩৭০ ধারা বিলোপের পাশাপাশি নরেন্দ্র মোদী সরকার কাশ্মীরকে দু ভাগ করে দু'টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল তৈরি করেছে। তার মধ্যে লাদাখ একটি। ফলে বিজেপি শিবির ভেবেছিল ৩৭০ প্রত্যাহার এবং স্বশাসিত এলাকা পাওয়ায় লাদাখবাসী বিজেপিকে ভোট দেবে।
কিন্তু ফল হয়েছে বিপরীত। এই জয়ের পরিপ্রেক্ষিতে কংগ্রেস নেতারা রাহুল গান্ধীর সাম্প্রতিক লাদাখ সফরের কথা স্মরণ করিয়ে দিচ্ছেন। নির্বাচনের মাত্রই কয়েক দিন আগে, রাহুল গান্ধী এই সফরে গিয়ে সাধারণ মানুষের সঙ্গে মিশে গিয়েছিলেন। সেখানে দাঁড়িয়েই লাদাখবাসীর দুর্দশা, হতাশার কথা তুলে ধরার পাশাপাশি স্পষ্ট জানিয়েছিলেন, পূর্ব লাদাখেই চীন ভারতের বিস্তীর্ণ ভূখণ্ড দখল করে রেখেছে। লাদাখবাসী তাকে এই কথা জানিয়েছেন এমন দাবিও করেন রাহুল।
অটোনমাস কাউন্সিলের ভোটে বিজেপিকে হারাতে একজোট হয় কংগ্রেস এবং ন্যাশনাল কনফারেন্স। এই নির্বাচনে অংশ নেয়নি কাশ্মীরের আর একটি গুরুত্বপূর্ণ বড় দল পিডিপি। তবে ওই দলের নেত্রী মেহবুবা মুফতিই প্রথম এক্স হ্যান্ডেল (পূর্ববর্তী ট্যুইটার)-এ লাদাখের ফল জানান।
তিনি লেখেন, "খুবই আনন্দের কথা লাদাখের মানুষ দুটি ধর্মনিরপেক্ষ দলকে বেছে নিয়েছেন বিজেপিকে দূরে ঠেলে।"
ন্যাশনাল কনফারেন্সের নেতা তথা জম্মু কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লাহ এক্স হ্যান্ডেল (পূর্ববর্তী ট্যুইটার)-এ লিখেছেন, "এই ফল বিজেপির জন্য সতর্ক বার্তা। বিজেপি বিরোধী দল এবং মানুষের জন্য সুখবর।"