সোমবার ২ অক্টোবর ভারতের জাতীয় রাজনীতিতে সাড়া ফেলে দিয়েছে বিহারের রাজ্য সরকার প্রকাশিত সে রাজ্যের কাস্ট সেন্সাস বা জাতিগত গণনার ফল।বিহারের ফল প্রকাশ হতেই কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী দাবি তুলেছেন, সারা ভারতে জাতিগত গণনার। প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধীর দাবি, দেশে জনসংখ্যার ৮৪ শতাংশ অন্যান্য অনুন্নত শ্রেণি বা ওবিসি এবং তফসিলি জাতি ও উপজাতি সম্প্রদায়ের মানুষ।
সোমবার প্রকাশিত বিহারের জাতিগত গণনার ফলাফলে জানা যায় বিহারে ১৩ কোটি জনসংখ্যার ৬৩ ভাগই অন্যান্য অনুন্নত শ্রেণি বা ওবিসি সম্প্রদায়ভুক্ত।এরমধ্যে ৩৬ শতাংশ অতি পিছিয়ে পড়া বা এক্সট্রিম ব্যকওয়ার্ড শ্রেণিভুক্ত। পশ্চাৎপদ বা ব্যাকওয়ার্ড ২৭.১ শতাংশ।
রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ মহল মনে করছে তাৎপর্যপূর্ণ হল, বিহারের জাতি গণনার ফল সামনে আসতেই জাতীয় স্তরে সক্রিয় হয়েছে কংগ্রেস। তুলনায় নীরব বিজেপির সর্ব ভারতীয় নেতৃত্ব। বিহারের বিজেপি শিবিরের নেতারা অবশ্য জোরালো আপত্তি তুলেছেন কাস্ট সেনসাস-এর ফল নিয়ে।
অন্যদিকে, কংগ্রেসের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক জয়রাম রমেশ বিহার সরকারকে সাধুবাদ দিয়ে স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন কংগ্রেসই দেশে জাতি গণনায় পথিকৃৎ। ২০১২ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহ গোটা দেশে আর্থ সামাজিক সমীক্ষা করিয়েছিলেন। যদিও বিশেষজ্ঞদের একাংশের মত, সেই সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য করেছিলেন ইউপিএ সরকারের দুই শরিক নেতা বিহারের লালুপ্রসাদ যাদব এবং উত্তর প্রদেশের প্রয়াত মুলায়ম সিং যাদব।
উল্লেখ্য, সেই সমীক্ষাতেই জানা গিয়েছিল দেশে কোন জাতি জনসংখ্যার কত ভাগ এবং আর্থিক ও সামাজিকভাবে তারা কোন স্তরে অবস্থান করছে। কিন্তু নরেন্দ্র মোদী সরকার সেই রিপোর্ট প্রকাশ করেনি। ফলে নতুন করে জাতি গণনার দাবি উঠেছে।
প্রসঙ্গত, কংগ্রেস শাসিত কর্নাটক সরকার ইতিমধ্যে জাতি গণনার কথা ঘোষণা করেছে। কংগ্রেস তাদের উদয়পুর ঘোষণাতেই জানিয়েছে, ক্ষমতায় ফিরলে এই দল সারা দেশেই জাতি গণনা করাবে। এই ঘোষণার মাধ্যমেই কংগ্রেস জাতের প্রশ্নে দলের অবস্থান এবং নির্বাচনী রণনীতি বদলের কথা ঘোষণা করে।