বৃহস্পতিবার হিউম্যান রাইটস ওয়াচ বলেছে, ইউরোপীয় মেরিটাইম কোম্পানিগুলো বিপজ্জনক এবং দূষিত পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের সমুদ্র সৈকতে ভাঙার জন্য তাদের পুরোনো জাহাজগুলো ফেলে যাচ্ছে। এই বিষাক্ত জাহাজ ভাঙা শিল্পের সাথে জড়িত শ্রমিকেরা বিষাক্ততার কারণে মারা যাচ্ছে।
বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্ব সীতাকুন্ড সমুদ্র সৈকত বিশ্বের বৃহত্তম শিপব্রেকিং ইয়ার্ডগুলোর মধ্যে একটি হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। এটি দক্ষিণ এশিয়ার দেশটির ক্রমবর্ধমান নির্মাণ শিল্পের ইন্ধন যোগায় এবং ইস্পাতের সস্তা উৎসের প্রয়োজন মেটায়।
২০২০ সাল থেকে সীতাকুন্ডে পাঠানো ৫২০টি জাহাজের মধ্যে ইউরোপীয় কোম্পানির পাঠানো জাহাজও রয়েছে। সেখানে হাজার হাজার শ্রমিক প্রতিরক্ষামূলক গিয়ার ছাড়াই জাহাজ ভাঙার কাজ করে
শ্রমিকেরা হিউম্যান রাইটস ওয়াচকে বলেছে, গলিত স্টিল কাটার সময় তাদের হাত যাতে পুড়ে না যায়, সেজন্য তারা গ্লাভস হিসেবে মোজা ব্যবহার করে, বিশাক্ত ধোঁয়ায় শ্বাস না নেয়ার জন্য শার্ট দিয়ে মুখ ঢাকে এবং খালি পায়ে স্টিলের টুকরা এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় বহন করে নিয়ে যায়।
বাংলাদেশী পরিবেশবাদী গ্রুপ ইয়াং পাওয়ার ইন সোশ্যাল অ্যাকশন জানিয়েছে, ২০১৯ সাল থেকে সীতাকুন্ডের শিপব্রেকিং ইয়ার্ডে দুর্ঘটনায় অন্তত ৬২ জন শ্রমিক নিহত হয়েছেন।
বাংলাদেশ শিপ ব্রেকার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিএসবিএ) ইয়ার্ড মালিকদের প্রতিনিধিত্ব করে। এটি বলেছে, এর সদস্যরা ২০২৫ সালে নিরাপদ এবং পরিবেশগতভাবে সঠিক স্ক্র্যাপিং সম্পর্কিত নতুন একটি আন্তর্জাতিক কনভেনশন কার্যকর হবার আগে সুরক্ষার উন্নতি করতে পদক্ষেপ নিয়েছে।
কিন্তু ড্যানিশ-অর্থায়নকৃত অকুপেশনাল সেফটি এন্ড সিকিউরিটি ইনফরমেশন সেন্টারের সমন্বয়কারী ফজলুল কবির মিন্টু বলেন, স্থানীয় রাজনীতিতে ব্যাপক প্রভাবের কারণে ইয়ার্ড মালিকেরা "দায়মুক্ত অবস্থায়" কাজ করে।
তিনি এএফপি-কে বলেন, কয়েক ডজন ইয়ার্ডে শ্রমিকদের নিরাপত্তার দিকে খুবই কম মনোযোগ রয়েছে বা কোনো মনোযোগই নেই।