অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

ভারতের চন্দ্রাভিযান সাফল্য: ইসরো প্রধানকে অভিনন্দন বার্তায় অতীতের অবদান স্মরণ করালেন সনিয়া গান্ধী


ভারতের চন্দ্রাভিযান সাফল্য: ইসরো প্রধানকে অভিনন্দন বার্তায় অতীতের অবদান স্মরণ করালেন সনিয়া গান্ধী
ভারতের চন্দ্রাভিযান সাফল্য: ইসরো প্রধানকে অভিনন্দন বার্তায় অতীতের অবদান স্মরণ করালেন সনিয়া গান্ধী

বিশ্বের প্রথম দেশ হিসাবে চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে সফল অবতরণ করেছে ভারতের চন্দ্রযান-৩। এই ঐতিহাসিক সাফল্যে, চন্দ্রযানের ল্যান্ডার বিক্রমের চাঁদে অবতরণের জন্য ইসরো-র চেয়ারম্যান এস সোমনাথকে শুভেচ্ছা জানিয়ে চিঠি দিয়েছেন প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি তথা দলের সংসদীয় পার্টির চেয়ারপারসন সনিয়া গান্ধী।

বৃহস্পতিবার ২৪ অগাস্ট সকালে সোমনাথকে পাঠানো চিঠিতে তিনি বলেছেন, এই সাফল্য সকল ভারতীয়ের জন্য অত্যন্ত গর্বের। চিঠিতে তিনি লিখেছেন, "প্রিয় সোমানাথ, বুধবার সন্ধ্যায় ইসরোর দুর্দান্ত কৃতিত্বে আমি কতটা রোমাঞ্চিত ছিলাম তা আপনাকে জানাতে এই চিঠি। এটা সমস্ত ভারতীয়দের জন্য অত্যন্ত গর্বের এবং উন্মাদনার বিষয়। বিশেষ করে তরুণ প্রজন্মের কাছে। ইসরোর এই অসামান্য সক্ষমতা কয়েক দশক ধরে তৈরি হয়েছে এবং যৌথ প্রচেষ্টার চেতনা সর্বদা এই প্রতিষ্ঠানকে চালিত করেছে। সেই ষাটের দশক থেকে ইসরো স্বনির্ভরতার অর্জনের লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে যা এই দুর্দান্ত সাফল্য অর্জনে অবদান রেখেছে।"

বুধবার বিক্রমের চাঁদে অবতরণের পরই কংগ্রেস-সহ সব দলই ইসরোর বিজ্ঞানীদের ভূয়সী প্রশংসা করেছে। গোটা বিশ্ব ভারতের এই সাফল্যে অভিভূত। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন, রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে পাঠানো শুভেচ্ছাবার্তায় ইসরোর-ও প্রশংসা করেছেন।

ভারতের চন্দ্রাভিযান সাফল্য: ইসরো প্রধানকে অভিনন্দন বার্তায় অতীতের অবদান স্মরণ করালেন সনিয়া গান্ধী
ভারতের চন্দ্রাভিযান সাফল্য: ইসরো প্রধানকে অভিনন্দন বার্তায় অতীতের অবদান স্মরণ করালেন সনিয়া গান্ধী

রাজনৈতিক মহলে অবশ্য প্রশ্ন তৈরি হয়েছে, সনিয়া আলাদা করে কেন ইসরোর চেয়ারম্যানকে চিঠি লিখলেন। তাছাড়া কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গের পরিবর্তে চিঠি কেন সনিয়া লিখলেন তা নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছে। ওয়াকিবহাল মহলের একাংশ মনে করছে, ইসরো-র সাফল্যকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং বর্তমান সরকারের কৃতিত্ব বলে বিজেপি যেভাবে প্রচার শুরু করেছে, তার থেকে মোড় ঘোরাতেই সনিয়া এই চিঠি পাঠিয়েছেন। ষাটের দশক থেকে ইসরো-র স্বনির্ভরতার পথ চলা শুরু, এ কথা উল্লেখ করে সনিয়া গান্ধী আসলে মহাকাশ গবেষণায় ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরু, তারপরে ইন্দিরা গান্ধী, রাজীব গান্ধীর সময়ের অবদানের কথা স্মরণ করিয়ে দিতে চেয়েছেন।

উল্লেখ্য, ইসরো-র যাত্রা ১৯৬৯-এ শুরু হলেও ভারতে মহাকাশ নিয়ে গবেষণার সূত্রপাত স্বাধীনতার আগে। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৫৪ সালে প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরু আর্যভট্ট রিসার্চ ইনস্টিটিউট অফ অবসারভেশন্যাল সায়েন্স স্থাপন করেন। ১৯৫৭ সাল থেকে মহাকাশ গবেষণায় আরও গতি আনেন নেহরু। সেই কাজ এগিয়ে নিয়ে যান প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী এবং রাজীব গান্ধীও।

XS
SM
MD
LG