২০২৪-এ ভারতে লোকসভা নির্বাচন। ইতিমধ্যেই
একাধিক সমীক্ষার ফল বলছে, প্রধানমন্ত্রী হিসাবে প্রথম পছন্দ নরেন্দ্র মোদী, দ্বিতীয় রাহুল।
লোকসভা নির্বাচনে নরেন্দ্র মোদীর মোকাবিলায় বিরোধী শিবিরের প্রধানমন্ত্রী মুখ হিসাবে এক নম্বরে আছেন রাহুল গান্ধী।
তবে এই সমীক্ষাগুলি হয়েছিল মোদী পদবিধারীদের মানহানির মামলায় রাহুল দোষী সাব্যস্ত হওয়ার আগে। আগামী মাসেই স্পষ্ট হয়ে যাবে রাহুলের সাজা বহাল থাকবে, কী থাকবে না। অগাস্টের শুরুতে এই ব্যাপারে রায় দেবে সুপ্রিম কোর্ট।
যদি রাহুলের সাজা বহাল থাকে, তাহলে তিনি আর চলতি সংসদে সাংসদ পদ ফিরে পাবেন না। এছাড়া, দু বছর কারাগারে কাটানোর পর পরের ছয় বছরও নির্বাচনে লড়াই করতে পারবেন না।
একটি সর্বভারতীয় টেলিভিশন চ্যানেল এবং ভোট গবেষণাকারী একটি সংস্থা সদ্য একটি সমীক্ষায় চালিয়েছিল। রাহুল গান্ধী যদি ২০২৪-এর লোকসভা ভোটে প্রার্থী না হন তাহলে বিরোধী শিবিরের প্রধানমন্ত্রী মুখ কাকে করা যেতে পারে সেই সমীক্ষায় তা জানতে চাওয়া হয়েছিল।
সমীক্ষার ফলাফলে উঠে আসে রাহুলের বিকল্প হিসাবে অধিকাংশ মানুষ প্রিয়াঙ্কা গান্ধীকে প্রধানমন্ত্রীর পদপ্রার্থী হিসাবে দেখার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছেন।
প্রিয়াঙ্কা এখন কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক। যদিও তিনি কখনও ভোটে দাঁড়াননি। ফলে সংসদে বা বিধানসভায় পা রাখার সুযোগ হয়নি তাঁর। রাজনৈতিক ওয়াকিবহাল মহলের মতে, সনিয়া গান্ধী সচেতনভাবেই মেয়েকে এই ব্যাপারে দূরে রেখেছেন। যদিও সাধারণ কংগ্রেস কর্মীদের মধ্যে রাহুলের তুলনায় প্রিয়াঙ্কার গ্রহণযোগতা বরাবর বেশি।
ভোটে প্রার্থী না হলেও প্রিয়াঙ্কার নির্বাচনের খুঁটিনাটি বিষয় জানেন। গত কুড়ি বছর যাবৎ মা সনিয়া গান্ধী ও দাদা রাহুল গান্ধীর নির্বাচন দেখভাল করে আসছেন তিনি। কিন্তু মূল ধারার রাজনীতিতে তাঁর অভিজ্ঞতা কম। যদিও দলের হয়ে ভোটের রণাঙ্গনে তাঁর সাফল্য প্রশ্নাতীত। সদ্য কংগ্রেসের হিমাচল প্রদেশ এবং কর্নাটকে ক্ষমতায় ফেরার পিছনে প্রিয়াঙ্কার প্রচারের বিরাট ভূমিকা ছিল বলে দলীয় সূত্রে মত।
সংশ্লিষ্ট সমীক্ষায় ৩৩ শতাংশ মানুষ বলেছেন, রাহুল প্রার্থী না হলে প্রধানমন্ত্রী মুখ করা উচিৎ প্রিয়াঙ্কা গান্ধীকে। বিরোধী শিবিরের দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ পছন্দ হিসাবে আছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল, বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার ও পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।