জাতিসংঘ কমান্ডের ডেপুটি কমান্ডার সোমবার বলেছেন যে, তারা উত্তর কোরিয়ার সাথে এক আমেরিকান সেনার বিষয়ে কথোপকথন শুরু করেছেন। এই সেনা গত সপ্তাহে কোরিয়ার সীমান্ত পেরিয়ে উত্তরে পালিয়েছিল।
জেনারেল অ্যান্ড্রু হ্যারিসন বলেন, এই প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে যোগাযোগ রক্ষার মাধ্যমে যা যুদ্ধবিরতি চুক্তির অধীন। এই চুক্তি ১৯৫০-৫৩ সালের কোরীয় যুদ্ধ বন্ধ করেছিল। তিনি আরও বলেন, প্রাইভেট ট্র্যাভিস কিং-এর মঙ্গল কমান্ডের প্রাথমিক উদ্বেগ। তবে আলোচনার সংবেদনশীলতার কথা উল্লেখ করে আরও বিশদ তথ্য দিতে অস্বীকার করেছেন তিনি।
উত্তর কোরিয়া কিং সম্পর্কে প্রকাশ্যে নীরব রয়েছে। কিং গত মঙ্গলবার সীমান্ত অতিক্রম করেছিলেন। টেক্সাসের ফোর্ট ব্লিসে যাওয়ার কথা ছিল তার।
যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা তার সুস্থতা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন এবং বলেছেন, তার সম্পর্কে তথ্য দিতে অনুরোধ করা হলেও তা উপেক্ষা করেছে উত্তর কোরিয়া।
বিশ্লেষকরা বলছেন যে, উত্তর কোরিয়া কিং সম্পর্কে অর্থবহ তথ্য দিতে কয়েক সপ্তাহ বা এমনকি কয়েক মাস বিলম্ব করতে পারে যাতে দর বাড়ানো যায় এবং তার মুক্তি নিশ্চিত করতে যুক্তরাষ্ট্রের ওপর চাপ তৈরি করা যায়।
কেউ কেউ বলছেন যে, উত্তর কোরিয়া ওয়াশিংটনের কাছ থেকে ছাড় পাওয়ার চেষ্টা করতে পারে, যেমন তার মুক্তিকে দক্ষিণ কোরিয়ার সাথে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক কার্যক্রম বন্ধ করার হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা।