ইউক্রেনকে নেটো জোটে যুক্ত করতে দ্রুত পথ করে দেয়ার বিষয়ে, নেটো মিত্রদের মধ্যে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এখনো ততটা সবর নন। আগামী সপ্তাহে লিথুয়ানিয়ার ভিলনিয়াসে নেটো শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। সেখানে পূর্বাঞ্চলীয় সদস্যদের সাথে এ বিষয়ে তীব্র বিতর্ক হতে পারে। এই সদস্য দেশগুলো, রাশিয়ার সাথে যুদ্ধ শেষ হলেই যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেনকে জোটে অন্তর্ভুক্ত করতে আগ্রহী।
বাইডেন প্রকাশ্যে বলেছেন, নেটোর সদস্যপদ পাওয়ার যোগ্যতা অর্জন করতে হলে ইউক্রেনকে আরো কিছু সংস্কার করতে হবে।গত জুনে তিনি বলেছেন, কিয়েভের জন্য তিনি “বিষয়টা সহজ করতে যাচ্ছেন না”। তবে, তার সহযোগীরা ইঙ্গিত দিয়েছেন যে, বাইডেন বিশ্বাস করেন, কিয়েভকে দ্রুত সদস্যপদ দেয়ার অর্থ হলো, পরমাণু শক্তিধর রাশিয়াকে ঠেঁকিয়ে রাখার বদলে সংঘাতে আহ্বান করা।
শুক্রবার হোয়াইট হাউজে সংবাদ সম্মেলনে ভিওএ-র প্রশ্নের জবাবে প্রেসিডেন্টের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জেক সুলিভান বলেন,”আমরা তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু করতে চাইছি না।”
বাইডেনের এই অনীহা কিছু পর্যবেক্ষককে বিভ্রান্তিতে ফেলে দিয়েছে। আটলান্টিক কাউন্সিলেরম ইউরেশিয়া সেন্টারের জেষ্ঠ্য পরিচালক ও ইউক্রেনে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক রাষ্ট্রদূত জন হার্বস্ট এই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে উদ্যোগ না নেয়ার জন্য প্রশাসনের সমালোচনা করেন।
ভিওএ-কে হার্বস্ট বলেন,”এটা একটা ঐতিহাসিক সন্ধিক্ষণ।” তিনি বলেন,“ ইউক্রেন পরাজিত হবে না, এটা নিশ্চিত করতে প্রশাসনকে অবশ্যই দৃঢ় প্রতিশ্রতি দিতে হবে। সংকট থেকে সাফল্যের সঙ্গে ইউক্রেনের বের হয়ে আসার বিষয়ে কেন তেমন গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে না।”
একটি প্রধান বিবেচ্য বিষয় হলো, নেটো জোটের রাশিয়ার সাথে সংঘাতে জড়িয়ে পড়ারা আশঙ্কা। নেটোর স্তম্ভ হিসাবে, যুক্তরাষ্ট্রকে এই যুদ্ধে লড়াই করার জন্য তাদের বহু সংখ্যক সৈন্য পাঠানো উচিত। কিন্তু বাইডেন বারবার অঙ্গিকার করেছেন যে তিনি তা করবেন না।