যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন বুধবার বলেছেন, হাইতির জাতীয় পুলিশ বাহিনীতে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার জন্য একটি বহুজাতিক বাহিনীর প্রয়োজন। এতে জাতিসংঘের কর্মকর্তাদের সাম্প্রতিক আবেদনের প্রতিধ্বণিই শোনা গেছে যাতে সে দেশের নিরাপত্তাহীনতা আরও খারাপের দিকে যাচ্ছে বলে সতর্ক করা হয়েছে।
ক্যারিকম নামে পরিচিত ১৫ সদস্যের ক্যারিবিয়ান বাণিজ্য ব্লক আয়োজিত তিন দিনের সম্মেলনের আয়োজন করে ত্রিনিদাদ ও টোবাগো । সেখানে একদিনের সফরে যোগ দেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্লিংকেন যিনি হাইতি এবং অন্যান্য বিষয় নিয়ে সংক্ষিপ্ত আলোচনা করেন
ক্যারিবীয় নেতারা হাইতির পরিস্থিতি নিয়ে নিয়মিত ভাবেই বৈঠক করে আসছেন। ক্যারিকমের চেয়ারম্যান এবং ডোমিনিকার প্রধানমন্ত্রী রুজভেল্ট স্কেরিট উল্লেখ করেছেন যে গ্রুপটি হাইতির সমস্যা সমাধান কল্পে তাদের নেতৃত্বাধীনকেই সমর্থন করে তবে তিনি সহায়তার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিও আহ্বান জানিয়েছেন।
সম্মেলনের শেষ দিনে ব্লিংকেনকে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার সময় তিনি বলেন, “মিস্টার সেক্রেটারি, এটা কোনো গোপন বিষয় নয় যে যুক্তরাষ্ট্রকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে।”
হাইতির প্রধানমন্ত্রী এরিয়েল হেনরির অনুরোধে বিদেশি সশস্ত্র বাহিনী মোতায়েনের জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের ওপর ক্রমবর্ধমান চাপের মধ্যে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠক ও হাইতি নিয়ে আলোচনার একদিন আগে ব্লিংকেন এ বিষয়ে কথা বলেন।
এখন পর্যন্ত কাউন্সিল কেবলমাত্র দুষ্কৃতিদলের সদস্যদের এবং বিশিষ্ট ব্যক্তিদের উপর নিষেধাজ্ঞা অনুমোদন করেছে যারা সেই অপরাধী চক্রগুলিকে সমর্থন করে যারা হাইতির রাজধানী পোর্ট-অ-প্রিন্সের আনুমানিক ৮০ ভাগনিয়ন্ত্রণ করে। হাইতির রাজধানীতে হত্যা, ধর্ষণ এবং অপহরণ অত্যন্ত বেড়েছে।
ব্লিংকেন বলেন, পুনরায় নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠার জন্য তিনি একটি বহুজাতিক বাহিনী মোতায়েনের আহ্বানকে সমর্থন করেনঃ “এটি আমাদের জন্য গভীরভাবে লক্ষ্য রাখার মতো বিষয়।
এছাড়াও, ব্লিংকেন ক্ষুদ্র চাষীদের সাহায্যের জন্য সাড়ে ৫০ লক্ষ ডলার সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন যাতে কৃষকরা ঐ অঞ্চলে জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে, উৎপাদন বৃদ্ধি এবং প্রযুক্তিগত সহায়তা পেতে পারে ।