বুধবার ইসরাইলের সামরিক বাহিনী বলেছে, তারা রকেট ফায়ারের জবাবে গাজা উপত্যকায় সন্দেহভাজন হামাস জঙ্গিদের দ্বারা ব্যবহৃত অস্ত্র উৎপাদনের স্থানকে লক্ষ্য করে বিমান হামলা চালিয়েছে।
ইসরাইলি সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, এর আগে তারা ইসরাইলি ভূখণ্ডের দিকে ছোঁড়া পাঁচটি রকেটই ভূপতিত করেছে।
ইসরাইলি সৈন্যরা পশ্চিম তীরের একটি শরনার্থী শিবির থেকে সশস্ত্র ফিলিস্তিনি গোষ্ঠীর সদস্য এবং অস্ত্রের সন্ধানে অভিযান চালানোর পরে মঙ্গলবার গভীর রাতে নিজেদের প্রত্যাহার করে।
সংযুক্ত আরব আমিরাতের অনুরোধে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ শুক্রবার পরিস্থিতি নিয়ে একটি রুদ্ধদ্বার বৈঠক করবে।
দুইদনের অভিযানে ১ হাজার জনের বেশি ইসরাইলি সৈন্য অন্তর্ভুক্ত ছিল এবং কমপক্ষে ১২ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়। হামাস বলেছে, তাদের একজন সদস্য নিহত হয়েছে, অন্যদিকে ইসলামি জিহাদ জানিয়েছে, নিহতদের মধ্যে তাদের চারজন সদস্য রয়েছে। ইসরাইল জানিয়েছে, একজন ইসরাইলি সেনা নিহত হয়েছে।
ইসরাইলি সেনাবাহিনী বলেছে, তারা জেনিনে ১২০ জন সন্দেহভাজন বন্দুকধারীকে আটক করেছে এবং অস্ত্রের ভাণ্ডার ও বিস্ফোরক জব্দ করেছে।
ফিলিস্তিনিরা, প্রতিবেশী জর্ডান ও মিশর এবং ৫৭ দেশের অর্গানাইজেশন অফ ইসলামিক কো-অপারেশন সহিংসতার নিন্দা করেছে।
ফিলিস্তিনি অঞ্চলে জাতিসংঘের মানবিক সমন্বয়কারী লিন হেস্টিংস টুইটারে বলেছেন, তিনি “ইসরাইলের বাহিনীর অভিযানের মাত্রায় উদ্বিগ্ন।” তিনি বলেন, জাতিসংঘ মানবিক সহায়তা জোগাড় করছে।
গত সপ্তাহে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ সংযমের আহ্বান জানিয়েছে এবং ইসরাইলি ও ফিলিস্তিনিদেরকে আহ্বান জানিয়েছে “একতরফা কর্মকাণ্ড যা উত্তেজনাকে আরও বাড়িয়ে দেয় তা থেকে বিরত থাকার জন্য।”
এই প্রতিবেদনের কিছু তথ্য এপি, এএফপি এবং রয়টার্স থেকে নেয়া হয়েছে।