শিহাব একজন আন্তঃলিঙ্গ ব্যক্তি। জন্মেছিলেন নারী ও পুরুষের বাইরে ভিন্নরকম এক যৌনাঙ্গ নিয়ে।
বাবা মা চেয়েছিলেন সন্তানকে ছেলে হিসেবে বড় করতে। তাই ছোটবেলায় ছেলেদের স্কুলে পড়েছেন শিহাব, থেকেছেন ছেলেদের হোস্টেলে, ব্যাবহার করেছেন ছেলেদের ওয়াশরুম।
বয়স আঠার পেরুনোর আগেই তার সম্মতির তোয়াক্কা না করেই জরায়ু ও ডিম্বাশয় ফেলে দেয়া হয় শিহাবের। দীর্ঘদিন পুরুষের হরমোন 'টেস্টাসটেরন' থেরাপি দেয়া হয়েছে কোনও প্রকার কাউন্সিলিং ছাড়াই। ফলে শারীরিক ও মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েন শিহাব।
এখন নিউ ইয়র্কে থাকেন শিহাব। ছেলেবেলার আতঙ্ক, আত্মীয়-প্রতিবেশি-সহপাঠীদের থেকে পাওয়া নিপীড়ন বা ডাক্তারদের হাতে লাঞ্ছনার শারিরীক-মানসিক প্রভাব কাটিয়ে উঠার চেষ্টা করছেন প্রাণপণ। রিফিউজি পরিচয় নিয়ে নতুন করে জীবন গড়ার সংগ্রাম করছেন তিনি।
পৃথিবীর ৮০০ কোটি মানুষের ১.৭ ভাগ পর্যন্ত আন্তঃলিঙ্গ হতে পারে, বলছে জাতিসংঘের রিপোর্ট। আমরণ প্রান্তিক এই আন্তঃলিঙ্গ জনগোষ্ঠীর অধিকার রক্ষার জন্য কাজ করে যেতে চান, ভয়েস অফ আমেরিকাকে বলেন শিহাব।
সাকিব প্রত্যয়ের প্রতিবেদন।