নতুনদিল্লি ও বেইজিংয়ে কর্মরত সাংবাদিকদের জন্য ভিসা সংক্রান্ত ঝামেলা সৃষ্টির অভিযোগ তুলে বৃহস্পতিবার ভারত ও চীনের মধ্যে নতুন করে কূটনৈতিক টানাপোড়েন শুরু হয়েছে।
পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য অরুণাচল প্রদেশের ১১টি স্থানের নাম পরিবর্তন বা 'স্ট্যান্ডার্ডাইজড' করার বিষয়ে ভারত চীনকে আপত্তি জানানোর কয়েক দিন পর এই মতবিরোধের ঘটনা ঘটল।
চলতি সপ্তাহে ভারতীয় সংবাদপত্রের খবরে বলা হয়, বেইজিংয়ে কর্মরত দুই ভারতীয় সাংবাদিককে ভারত থেকে চীনের রাজধানীতে তাদের কাজে ফিরে যাওয়ার সময় বাধা দেওয়া হয়েছে।
দ্য হিন্দু সংবাদপত্র এবং রাষ্ট্রীয় সম্প্রচার মাধ্যম প্রসার ভারতীর সংবাদদাতাদের মঙ্গলবার জানানো হয়েছে যে তাদের ভিসা স্থগিত করা হয়েছে। বিষয়টির সম্পর্কে অবগত একটি ভারতীয় সূত্র রয়টার্সকে এ তথ্যটি জানিয়েছে।
ভিসা স্থগিত করার বিষয় সম্পর্কে জানতে চাওয়া হলে চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রকের মুখপাত্র মাও নিং বৃহস্পতিবার বলেন, চীনের সাংবাদিকরা দীর্ঘদিন ধরে ভারতে অন্যায্য ও বৈষম্যমূলক আচরণের স্বীকার হয়ে আসছেন এবং সম্প্রতি সিনহুয়ার এক সাংবাদিককে ৩১ মার্চের মধ্যে ভারত ছাড়তে বলা হয়েছে।
মাও বলেন, 'চীন সবসময়ই ভারতীয় সাংবাদিকদের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করেছে। তিনি বলেন, চীনা কর্তৃপক্ষ ভারত সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে কিন্তু তারা কোনো সাড়া দেয়নি এবং তাদের ভুলও সংশোধন করেনি।
নতুনদিল্লিতে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচী বলেন, 'ভারত আশা করছে, 'চীনা কর্তৃপক্ষ চীনে তাদের অব্যাহত উপস্থিতি ও সংবাদ পাঠানোর সুবিধা দেবে।
২০২০ সালের মাঝামাঝিতে দুদেশের মধ্যকার বিতর্কিত হিমালয় সীমান্তে চীনা ও ভারতীয় সৈন্যদের মধ্যে সংঘর্ষ হয় যখন থেকে এশীয়ার বিশাল পারমাণবিক ঐ দুই শক্তিধর দেশের মধ্যেকার সম্পর্কের অবনতি হতে থাকে। ওই সংঘর্ষে ২৪ জন নিহত হয়। সামরিক ও কূটনৈতিক আলোচনার পর পরিস্থিতি অনেকটাই শান্ত হয়েছে, তবে সীমান্তের কিছু ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র এলাকায় সংঘর্ষ অব্যাহত রয়েছে।
সাংবাদিকদের ভিসা নিয়ে ভারত ও চীনের মধ্যে মতবিরোধ
