আগাম নির্বাচনের জন্য চাপ দিতে পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের হাজার হাজার সমর্থক বৃহস্পতিবার দেশটির রাজধানী ইসলামাবাদে পুনরায় বিক্ষোভ মিছিল শুরু করেছে। ৭০ বছর বয়সী বিরোধী দলীয় এই নেতাকে হত্যার প্রচেষ্টার কারণে বিক্ষোভ মিছিলটি থেমে গিয়েছিল। হত্যা প্রচেষ্টার ১ সপ্তাহ পরে পুনরায় এটি শুরু হয়।
তথাকথিত এই “প্রকৃত স্বাধীনতা আন্দোলন” ওয়াজিরাবাদ থেকে শুরু হয়েছিল। পাঞ্জাব প্রদেশের এই জায়গায়ই ইমরান খানকে ৩ নভেম্বর গুলি করা হয়।
সাবেক ক্রিকেট তারকা এবং জনপ্রিয় এই রাজনীতিবিদ তার পায়ে বুলেটের আঘাতে ভুগছেন এবং এখনো প্রাদেশিক রাজধানী লাহোরের বাড়িতে চিকিৎসাধীন আছেন। গুলিতে তার পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটি) দলের একজন সদস্য নিহত এবং ১৩ জন আহত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার ইমরান খান ভার্চুয়ালি বিক্ষোভকারীদের সম্বোধন করেন এবং তার অভিযোগ পুনর্ব্যক্ত করেন যে, প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রানা সানাউল্লাহ এবং সামরিক নেতৃত্বাধীন গুপ্তচর সংস্থা ইন্টার সার্ভিস ইন্টেলিজেন্স বা আইএসআই-এর একজন কর্মকর্তা মেজর-জেনারেল ফয়সাল নাসির তাকে হত্যা করার উদ্দেশ্যে হওয়া হামলার ষড়যন্ত্রে জড়িত ছিলেন।
শরীফ সরকার এবং সেনাবাহিনী উভয়েই এই অভিযোগকে “ভিত্তিহীন এবং দায়িত্বজ্ঞানহীন” বক্তব্য বলে প্রত্যাখ্যান করেছে।
পিটিআই-এর এই বিক্ষোভ মিছিলের উদ্দেশ্য শরীফকে পাকিস্তানে আগাম নির্বাচনের ঘোষণা দিতে বাধ্য করা। তিনি দাবিটিকে অবৈধ বলে প্রত্যাখ্যান করে বলেছেন, ২০২৩ সালের অক্টোবরে যখন সংসদের নিম্নকক্ষ ন্যাশনাল এসেম্বলির সাংবিধানিক মেয়াদ শেষ হবে তখন সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর থেকে ইমরান খানের জনপ্রিয়তা বেড়েছে। তিনি পাকিস্তান জুড়ে তার সরকার বিরোধী সমাবেশে কয়েক হাজার মানুষকে জড়ো করতে সক্ষম হয়েছেন। এর ফলে পিটিআই জাতীয় পরিষদ এবং পাঞ্জাবে সাম্প্রতিক উপ-নির্বাচনে বিপুল ব্যবধানে জিততে সক্ষম হয়েছে।