সন্ত্রাসবাদে জড়িত থাকার অভিযোগ এনে, একটি ইসলামিক সংগঠনকে নিষিদ্ধ করেছে ভারত, এবং সংগঠনটিকে দেশের নিরাপত্তার জন্য হুমকি বলে তারা অভিহিত করেছে।
সাম্প্রতিক দিনগুলিতে পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়া বা পিএফআই-এর ২৫০ জনেরও বেশি সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। দেশব্যাপী দমন পীড়নের পর, বুধবার পিএফআই-এর উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়। এই নিষেধাজ্ঞার মধ্যে গোষ্ঠীটির সহযোগী সংস্থাগুলিও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে এবং আগামী পাঁচ বছরের জন্য তা বহাল থাকবে।
গোষ্ঠীটিকে অবৈধ ঘোষণা করার একদিন আগে, তারা দেশবিরোধী কার্যকলাপের অভিযোগ অস্বীকার করে এবং এর সদস্যদের বিরুদ্ধে নেয়া পদক্ষেপকে "ভুত খোঁজা" বলে অভিহিত করেছিল।
এর রাজনৈতিক শাখা, সোশ্যাল ডেমোক্রেটিক পার্টি অফ ইন্ডিয়া, এই পদক্ষেপের নিন্দা করেছে, এবং এটিকে তারা "গণতন্ত্র এবং জনগণের অধিকারের উপর সরাসরি আঘাত" বলে অভিহিত করেছে।
সরকার পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগের একটি তালিকা করেছে। দলটি ১৫ বছর আগে গঠিত হয়েছিল।
এতে বলা হয়েছে, এই গোষ্ঠীটি এবং এর সহযোগীরা "দেশের সাংবিধানিক ব্যবস্থাকে উপেক্ষা করে, সন্ত্রাসবাদ এবং এর অর্থায়ন, লক্ষ্যবস্তু করে ভয়াবহ হত্যাসহ গুরুতর অপরাধের সাথে জড়িত"।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক বলেছে, পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়ার সাথে বৈশ্বিক সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলির সম্পর্ক ছিল এবং এর কিছু সদস্য ইসলামিক স্টেটে যোগ দিয়েছিল এবং তারা সিরিয়া ও ইরাকে সন্ত্রাসী কার্যকলাপে অংশ নিয়েছিল।
এই পদক্ষেপটি এমন এক সময়ে নেয়া হল, যখন সমালোচকরা সরকারের বিরুদ্ধে দেশটির জনসংখ্যার প্রায় ১৩ শতাংশ মুসলিমদের বিরুদ্ধে বৈষম্যমূলক আচরণের অভিযোগ করেছেন।
ভারতের সোশ্যাল ডেমোক্রেটিক পার্টি এক বিবৃতিতে বলেছে, “ভারতীয় সংবিধানের মৌলিক নীতির বিরুদ্ধে সরকার কর্তৃক বাকস্বাধীনতা, প্রতিবাদ এবং সংগঠনগুলিকে নির্মমভাবে দমন করা হয়েছে”। তারা সরকারের বিরুদ্ধে "বিরোধীদের দমন করতে" তদন্ত সংস্থার অপব্যবহার করারও অভিযোগ করেছে।