পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সমর্থক একটি টেলিভিশন নেটওয়ার্ক বন্ধ করে দেয়ার বিষয়টি উদ্ধৃত করে, পাকিস্তানে গণ মাধ্যমের উপর বিধিনিষেধ আরোপ করা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র নেড প্রাইস মঙ্গলবার সাংবাদিকদের বলেছেন, “পাকিস্তানের মিডিয়া আউটলেট এবং সুশীল সমাজের উপর উল্লেখযোগ্য নিষেধাজ্ঞার কারণে আমরা উদ্বিগ্ন”।
তিনি বলেন, “মিডিয়া এবং এর বিষয়বস্তুর সীমাবদ্ধতার উপর বিধিনিষেধ নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন, সেইসাথে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে আক্রমণ, জবাবদিহিতার অভাব, এবং মত প্রকাশের স্বাধীনতাকে বিনষ্ট করায়ও আমরা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন”।
নেটওয়ার্কের একজন সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে, সম্প্রতি প্রচারিত এআরওয়াই নিউজের একটি প্রতিবেদনকে উদাহরণ হিসেবে তুলে ধরেন প্রাইস।
নেটওয়ার্কটি ইমরান খানের প্রতি সহানুভূতিশীল, যিনি গত এপ্রিলে সংসদীয় অনাস্থা ভোটে ক্ষমতাচ্যুত হলে, দেশটির প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শেহবাজ শরিফ তাঁর স্থলাভিষিক্ত হন।
ইমরান খানের বক্তৃতার অনলাইন সুবিধাও অবরুদ্ধ করে রেখেছে কর্তৃপক্ষ।
যুক্তরাষ্ট্র পাকিস্তানের ঐতিহাসিক ভাবে মিত্র দেশ, তবে দুই দেশের মধ্যে কিছুটা কঠিন সম্পর্কও বিদ্যমান রয়েছে, বিশেষ করে আফগানিস্তানের তালিবানের সাথে সম্পর্কের বিষয়ে। ইমরান খান আফগানিস্তানে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক অভিযানের সমালোচনা করে আসছেন।
সর্বকালের সবচেয়ে ভয়াবহ বন্যার সাথে লড়াই করছে পাকিস্তান, বন্যার ফলে ইতোমধ্যে দেশটির এক-তৃতীয়াংশ পানির নিচে তলিয়ে গেছে। এই পরিস্থিতি মোকাবেলায় সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলিতে যুক্তরাষ্ট্র পাকিস্তানকে ৫ কোটি ডলারের বেশি অনুদান দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।