পল্লী কবি জসিম উদ্দীন তার ‘আসমানী’ কবিতায় যাদের কথা বলেছেন, তাদের বসবাস যেন সিলেটের চা-বাগানগুলোতে। ‘বাড়ি তো নয় পাখির বাসা/ভেন্না পাতার ছানি/একটুখানি বৃষ্টি হলেই/গড়িয়ে পড়ে পানি’- অধিকাংশ চা-শ্রমিকের বাড়িতেই এমন পরিবেশ।
এই চা-শ্রমিকেরা সম্প্রতি মজুরি বাড়ানোর দাবিতে আন্দোলন শুরু করলে সিলেটের হবিগঞ্জের চান্দপুর এলাকার চা-বাগানে যান ভয়েস অফ আমেরিকার অমৃত মলঙ্গী। সেখানে গিয়ে তাদের যাপিত জীবনের নানা দিক সরেজমিনে প্রত্যক্ষ করেছেন তিনি।
শ্রমিকেরা দৈনিক মজুরি ১২০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৩০০ টাকা করার দাবি জানিয়েছিলেন। মালিকপক্ষ প্রথমে ১৪৫ টাকার প্রস্তাব দেয়। শ্রমিকেরা তাতে রাজি না হলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শনিবার (২৭ আগস্ট) গণভবনে মালিকদের সঙ্গে বৈঠক করেন। সেই বৈঠক শেষে দৈনিক মজুরি ১৭০ টাকা করার ঘোষণা এসেছে।
প্রধানমন্ত্রীর এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক বিজয় হাজরা।
মালিকেরা প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকে দাবি করেছেন, দৈনিক মজুরির পাশাপাশি শ্রমিকদের বাড়িসহ আরও সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হয়। এই সুযোগ-সুবিধা ভবিষ্যতে আরও বাড়ানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তারা।
কিন্তু শ্রমিকেরা ভয়েস অফ আমেরিকার কাছে অভিযোগ করেছেন, এর আগেও সুযোগ-সুবিধা দেওয়ার কথা ছিল, কিন্তু তার কিছুই তারা পান না। বাড়ি নষ্ট হয়ে গেলে দিনের পর দিন অপেক্ষা করে মেলে না কোনো সাহায্য।