সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান পুলিশের গুলিতে নিহত হওয়ার পর থেকে কক্সবাজার জেলা পুলিশের অনেকের বিরুদ্ধে শুরু হয় মামলা, গ্রেফতার, তদন্ত। টেকনাফ থানার বরখাস্তকৃত ওসি প্রদীপ দাসসহ পুলিশের ৮ জন সদস্য বর্তমানে কারাগারে।
গত ৩১ জুলাই রাতে মেরিন ড্রাইভে পুলিশের গুলিতে মেজর সিনহা নিহত হওয়ার পর থেকে প্রশ্নবিদ্ধ হতে থাকে পুলিশের ভূমিকা। সেনা পরিবার এগিয়ে আসলে কথিক “বন্দুকযুদ্ধ” টিকিয়ে রাখতে পারেনি পুলিশ। এরপর কক্সবাজারের শীর্ষ পুলিশ কর্মকর্তাদের বদলী শুরু করে সদর দফতর। কক্সবাজার থেকে সদ্য বদলী হওয়া পুলিশ সুপার এবিএম মাসুদ হোসেনের বিরুদ্ধেও ছিল সিনহার পরিবারের অভিযোগ। ২৪ সেপ্টেম্বর পুলিশের ব্যান্ড পার্টি সহ ফুলে সজ্জিত গাড়িতে ফুলের দীর্ঘ মালায় অভিনব এক আয়োজনের মাধ্যমে এবিএম মাসুদ হোসেনকে বিদায় জানায় জেলা পুলিশ। ওইদিনই কক্সবাজারের ৮টি থানার সব ক’জন ওসি সহ ৩৪ জন পরিদর্শককে বদলি করা হয়। পরদিন জেলার অন্যান্য পুলিশ সদস্যদের একযোগে বদলি করে পুলিশ সদর দফতর। এনিয়ে বদলি হওয়া পুলিশের সংখ্যায় ১৪০০ জনেরও বেশি। কক্সবাজারের ইতিহাসের এটাই প্রথম এত বড় বদলির ঘটনা। বেশকিছুদিন ধরে কক্সবাজারে কথিত বন্দুকযুদ্ধে কয়েকশ মানুষ নিহত হলেও সিনহা হত্যার পর ভিন্নতা পায় পরিস্থিতি, থমকে যায় কথিক “বন্দুকযুদ্ধ”।