অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

মহামারি নিয়ন্ত্রণে ভারতের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা বাস্তবায়িত হয়নি


ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রক শনিবার জানিয়েছে যে গত চব্বিশ ঘন্টায় নতুন করে ২,৫০,০০০ ‘এর বেশি লোক কভিড ১৯ এ সংক্রমিত হয়েছে এবং ৪,১০০ জন মারা গেছে। শনিবার দ্য এসোসিয়েটেড প্রেসের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, “কভিড-১৯ এর বিরুদ্ধে টীকাদানের আন্তর্জাতিক প্রচেষ্টায় সব সময় মনে করা হতো ভারত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। তবে অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাস, দূর্বল পরিকল্পনা এবং দূর্ভাগ্যের কারণে শেষ পর্যন্ত সেটা হয়নি”।

বার্তা সংস্থা এ.পি.’র মতে জানুয়ারি মাসে ভারত যখন তার অভ্যন্তরীণ টীকা প্রদান কর্মসূচী শুরু করে তখন ভারত তার সাফল্যে আনন্দ প্রকাশ করেছিল এবং দেশকে আশ্বস্ত করেছিল যে, অভ্যন্তরীণ টীকা দান কর্মসূচীকে রেখেই টীকা রপ্তানির কাজ চালানো হবে। তবে যে গতিতে বিশ্বব্যাপী তাদের টীকা অনুমোদন লাভ করে এবং এবং ঘরে বাইরে এর ব্যাপক চহিদা বেড়ে যায় তাতে দক্ষিণ এশিয়ার এই দেশটি বেকায়দায় পড়ে যায়। তা ছাড়া ভারতের দুটি প্রধান টীকা প্রস্তুতকারি কোম্পানি সেরাম ইনস্টিটিউট ও ভারত বাইওটেক পর্যাপ্ত পরিমাণ টীকা উৎপাদনে ব্যর্থ হয়।

এ দিকে ধনী ও দরিদ্র দেশগুলোর মধ্যে টীকা দানের পার্থক্য কমিয়ে আনার লক্ষ্যে টীকার বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও জার্মান অংশীদারিত্বের কোম্পানি ফাইজার ও বাইওএনটেক নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোকে ২০০ কোটি ডোজ টীকা সরবরাহের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।

XS
SM
MD
LG