অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

ভারতের সরকারি ও সরকারি অনুদান পুষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে ফাইনাল পরীক্ষা স্থগিত


করোনা পরিস্থিতিতে ছাত্র-ছাত্রীদের স্বাস্থ্যের কথা ভেবে ভারতের সরকারি ও সরকারি অনুদান পুষ্ট কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে সব রকম ফাইনাল পরীক্ষা এখন স্থগিত রাখা হচ্ছে। দুটি সর্বভারতীয় স্কুল শিক্ষা সংস্থা সেন্ট্রাল বোর্ড অফ সেকেন্ডারি এডুকেশন সিবিএসই এবং ইন্ডিয়ান কাউন্সিল ফর সেকেন্ডারি এডুকেশন আইসিএসই আজ সুপ্রিম কোর্টকে জানিয়েছে যে তারা এবছর দশম শ্রেণীর এবং দ্বাদশ শ্রেণীর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার সমতুল্য পরীক্ষাগুলো বন্ধ রাখছে। জুলাই মাসের এক তারিখ থেকে পনেরো তারিখের মধ্যে স্কুল-কলেজের ফাইনাল পরীক্ষাগুলো হওয়ার কথা ছিল। যদিও রাজ্য এবং কেন্দ্রীয় সরকার বারবারই বলে এসেছে যে জুলাই মাসে কেন, অগস্ট মাসের মাঝামাঝি সময়ের আগে কোনও স্কুল খুলবে না, ছাত্র-ছাত্রীদের অভিভাবকরাও বারবার করে বলছিলেন যে পরীক্ষা চলাকালে একসঙ্গে বসে উত্তর লেখার জন্য যে ব্যবস্থাই করা হোক না কেন তাতে করোনা সংক্রমণের আশংকা থেকেই যায়। সুতরাং এবছর পরীক্ষা বন্ধ রাখাই শ্রেয়। তবে পরীক্ষা না হলেও ছাত্রদের উচ্চ শিক্ষার যাতে ক্ষতি না হয়, তার জন্য আপাতত ঠিক হয়েছে, বিগত তিনটি পরীক্ষার অর্থাৎ বার্ষিক, প্রি টেস্ট এবং টেস্ট পরীক্ষার নম্বরের উপর ভিত্তি করে প্রত্যেককে ফাইনাল পরীক্ষায় নম্বর দেওয়া হবে। আসন্ন পরীক্ষা ও ছাত্রদের ভবিষ্যৎ বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানতে সুপ্রিম কোর্টে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছিল। সুপ্রিম কোর্ট সিবিএসই এবং আইসিএসইকে এর জবাব দিতে বলেছিল। তারা আজকেই বলেছে যে ফাইনাল পরীক্ষা এখন নেওয়া হবে না এবং উল্লিখিত ব্যবস্থা মতো অর্থাৎ আগের পরীক্ষায় পাওয়া নম্বরের ভিত্তিতে ফাইনাল পরীক্ষার মার্কস দেওয়া হবে। তাতে অনেকেরই হয়তো অসুবিধা হবে, অনেক ভালো ছাত্র হয়তো খেটেখুটে পড়ে যে মার্কস পাবে আশা করেছিল তা হয়ে উঠবে না, কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে এ ছাড়া আর উপায় নেই বলেও ভারতের সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা সর্বোচ্চ আদালতকে জানিয়েছেন। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গতকাল সর্বদল বৈঠকে এবছর রাজ্যের মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার ভবিষ্যৎ কী হবে এই প্রশ্নের উত্তর শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে জিজ্ঞেস করেন। পার্থবাবু বলেছেন, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের প্রতি তাঁর নজর রয়েছে। আজকের এই শুনানির পর শীঘ্রই এই রাজ্যে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত ঘোষণা করা হবে। ধরে নেওয়া যাচ্ছে এখানেও পরীক্ষা বাতিলের পথই নেওয়া হবে।

সরাসরি লিংক


XS
SM
MD
LG