অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

হ্যালো ওয়াশিংটন : সিরিয়ার বিরুদ্ধে সম্ভাব্য সামরিক ব্যবস্থা গ্রহণ ও এর বিভিন্ন দিক


ধন্যবাদ শতরূপা । শ্রোতারা যেমনটি একটু আগেই শুনলেন যে আজকের এই কল ইন শো হ্যালো ওয়াশিংটন এর বিষয় হচ্ছে সিরিয়ার বিরুদ্ধে সম্ভাব্য সামরিক ব্যবস্থা গ্রহণ । আপনাদের জিজ্ঞাসা আর আমাদের বিশেষজ্ঞদের জবাবের এই আয়োজনে আজ যে সব বিশেষজ্ঞরা আমাদের সঙ্গে টেলিসম্মিলনী লাইনে যোগ দিয়েছেন , তাঁরা হচ্ছেন ঢাকা থেকে , ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক , ড ইমতিয়াজ আহমেদ । কোলকাতা থেকে , কোলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্সটিটিউট অফ ফরেন পলিসি স্টাডিজ এর অধ্যাপক জয়ন্ত রায়। অধ্যাপক রায় , আপনাকে স্বাগতম ।

আমরা জানি দু বছরের ও বেশি সময় আগে ২০১১ সালের মার্চ মাস থেকে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের অপসারণের দাবিতে সেখানে যে আন্দোলনের সূচনা , সেই সঙ্কটে এক লক্ষের ও বেশি লোক প্রাণ হারিয়েছেন , অসংখ্য মানুষ শরনার্থি হয়েছেন , চার লক্ষের ও বেশি লোক নিজের দেশেই বাস্তুচ্যূত হয়ে আছেন। গণতন্ত্র সেখানে পরাহত , পর্যদূস্ত। সঙ্কটের তীব্র রূপ প্রকাশ পায় যখন ২১ শে অগাস্ট সেখানে বিরোধীদের বিরুদ্ধে রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহারের অভিযোগ ওঠে। খোদ জাতিসংঘের মহাসিচব বান কী মুন বলেছেন যে সিরিয়ায় রাসায়নিক অস্ত্রের ব্যবহার নিশ্চিত হলে সেটি হবে মানবতার বিরুদ্ধে জঘন্যতম যুদ্ধাপরাধ এবং এই অপরাধ সংঘনকারীদেরকে বিচারের মুখোমুখি হতে হবে। তিনি বলেন যে সিরিয়ার সংঘাতের চাইতেও এই রাসায়নিক অস্ত্র বা স্নায়ু গ্যাস ব্যবহারের বিষয়টি হচ্ছে অত্যন্ত গুরুতর এবং এটির বিরুদ্ধে গোটা মানবজাতির সম্মিলিত দায়িত্ব রয়েছে। এ দিকে যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট ওবামা যে সিরিয়ার বিরুদ্ধে সামরিক অভিযানের সম্ভাবনার কথা বলছেন , তার প্রতি অভ্যন্তরীণ সমর্থন ও বৃদ্ধি পাচ্ছে। মঙ্গলবার হোয়াইট হাউজে এক বৈঠক শেষে যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ বিধায়করা বলেছেন যে তাঁরা মার্কিন অভিযানকে সমর্থন করবেন। রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও বলেছেন যে সিরীয় সরকারের রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহারের নিশ্চিত প্রমাণ পাওয়া গেলে তারা সিরিয়ার বিরুদ্ধে সামরিক ব্যবস্থা গ্রহণের বিষয়ে জাতিসংঘের অনুমোদনকে সমর্থন দেয়ার সম্ভাবনা নাকচ করে দেবে না। তবে যুক্তরাষ্ট্রের ভেতরে কোন কোন জনমত জরিপে সিরিয়ায় সামরিক অভিযানের বিরুদ্ধে ও মতামত জোরালো। বলা হচ্ছে যে এর প্রতিক্রিয়া যুক্তরাষ্ট্রের জন্যে ভালো ফল বয়ে আনবে না। আবার কেউ কেউ এ কথা ও বলছেন যে যুক্তরাষ্ট্র ও আবার ও একটি দীর্ঘ মেয়াদি সামরিক প্রতিশ্রুতিতে জড়িয়ে পড়বে। আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকরা এ নিয়েও আশং্কা প্রকাশ করছেন যে এতে সিরীয় বিদ্রোহীদের মধ্যে যে সব জঙ্গি প্রচ্ছন্ন ভাবে অবস্থান করছে , তাদের হাতকে আরও শক্তিশালী করে তোলা হচ্ছে কীনা।

আজকের অনুষ্ঠানে প্রশ্নোত্তরের মাধ্যমে এ সব বিষয়ের দিকেই আমরা আলোকপাত করবো। এবার তা হলে শুরু করা যাক প্রশ্ন –উত্তরের পালা।

please wait
Embed

No media source currently available

0:00 0:44:02 0:00
সরাসরি লিংক
XS
SM
MD
LG