প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বৃহস্পতিবার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন যে যুক্তরাষ্ট্র তাঁর হোয়াইট হাউসের সময়কালে বিশ্বজুড়ে বিদেশী সম্পর্ক পুনরায় স্থাপনের চেষ্টা করবেন। প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের "বিগত কয়েক বছরের অবহেলা এবং" অপব্যবহারের সমাপ্তি করবেন তিনি।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসাবে বাইডেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তাঁর প্রথম ভাষণে ঘোষণা করেন "আমেরিকা ফিরে এসেছে।" "আমেরিকা বিশ্ব মঞ্চে অনুপস্থিত থাকতে পারে না। কূটনীতি আমাদের পররাষ্ট্রনীতির কেন্দ্রবিন্দু।"
রাশিয়া ও চীন উভয়কেই আমেরিকান সংকল্প সম্পর্কে সতর্ক করে দিয়ে তিনি বলেন "আমেরিকার সঙ্গে অন্যান্য রাষ্ট্রের বন্ধুত্ব আমাদের সবচেয়ে বড় সম্পদ।" ট্রাম্প, "আমেরিকা ফার্স্ট"আদর্শ নিয়ে স্বৈরাচারী রাষ্ট্রগুলির সঙ্গে নরম ব্যবহার করেছেন এবং বন্ধু রাষ্ট্রের সঙ্গে দ্বন্দ্বে জড়িয়েছেন।
বাইডেন বলেন তিনি গত সপ্তাহে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে এক ফোন আলাপে বলেছেন "আমেরিকার মস্কোর দিকে ঘুরে দেখবার দিন শেষ হয়ে গেছে।"
বাইডেন পুতিনকে অবিলম্বে বিরোধী নেতা অ্যালেক্সি নাভালনিকে নিশর্ত মুক্তি দেওয়ার আহ্বান জানান। জার্মানি থেকে ফিরে আসার পর নাভালনিকে এই সপ্তাহে ২½ বছরের কারাদন্ডে দণ্ডিত করা হয়। গত বছর সন্দেহভাজন রাশিয়ার গোয়েন্দারা নাভালনিকে বিষ প্রয়োগে হত্যা করার চেষ্টা করে।সুস্থ হয়ে তিনি রাশিয়া ফেরত যাবার পর তাকে গ্রেফতার করা হয়।
চীনের বিষয়ে বাইডেন বলেন, "আমাদের আগ্রহ অনুযায়ী আমরা বেইজিংয়ের সাথে কাজ করব।"
"মানবিক ও কৌশলগত বিপর্যয় বলে অভিহিত করে বাইডেন বলেন তিনি ইয়েমেনে সৌদি নেতৃত্বাধীন সামরিক অভিযানের পক্ষে যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থনের ইতি টানছেন।বলেন,এই যুদ্ধের অবসান ঘটাতে হবে।কূটনীতির মাধ্যমে আরব উপদ্বীপের দরিদ্রতম দেশে পাঁচ বছরের সংঘাতের অবসান ঘটবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন বাইডেন। টিমোথি লেন্ডারিংকে ইয়েমেনের বিশেষ দূত হিসাবে নাম ঘোষণা করেন বাইডেন।
নতুন প্রেসিডেন্ট বলেন তিনি জার্মানিতে যুক্তরাষ্ট্রের সৈন্যদল প্রত্যাহার করবেন না যা ট্রাম্প পরামর্শ দিয়েছিলেন, এবং বিশ্বের বিভিন্ন দুর্যোগপূর্ণ স্থান থেকে আগত শরণার্থীদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে অনুমতির সংখ্যা ১২৫,০০০-এ বৃদ্ধি করবেন যা প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প কমিয়ে ১৮,০০০ করেছিলেন।
বাইডেন বলেন, "গত দু'সপ্তাহ ধরে, আমি আমাদের নিকটতম বন্ধু - ক্যানাডা, মেক্সিকো, যুক্তরাজ্য, জার্মানি, ফ্রান্স, ন্যাটো, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া এবং অস্ট্রেলিয়ার নেতাদের সঙ্গে কথা বলেছি। সহযোগিতা এবং গণতান্ত্রিক জোট শক্তিশালী করার জন্য পুনর্গঠনের আহ্বান জানিয়েছি।