অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

দুই আফগান সাংবাদিককে আটকে রেখে মারধর করেছে তালিবান


আফগান সংবাদপত্র এতিলাত রোজের সাংবাদিক নেমাতুল্লাহ নকদি (এল) এবং তাকি দরিয়াবি কাবুলে তালেবানদের হেফাজত থেকে মুক্তি পাওয়ার পর তাদের কার্যালয়ে পৌঁছেছেন।৮ সেপ্টেম্বর ২০২১।
আফগান সংবাদপত্র এতিলাত রোজের সাংবাদিক নেমাতুল্লাহ নকদি (এল) এবং তাকি দরিয়াবি কাবুলে তালেবানদের হেফাজত থেকে মুক্তি পাওয়ার পর তাদের কার্যালয়ে পৌঁছেছেন।৮ সেপ্টেম্বর ২০২১।

আফগান রাজধানীতে একটি বিক্ষোভের খবর সংগ্রহ করার জন্য তালিবান দুইজন আফগান সাংবাদিককে কয়েক ঘণ্টা আটকে রেখে তাদের মারধর করেছে। আফগান সংবাদকর্মীদের শরীরে মারাত্মক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।

বুধবার এক বিক্ষোভের সময় ঐ সংবাদকর্মীদের তুলে নিয়ে রাজধানীর একটি থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।সংবাদকর্মীরা বলছেন, সেখানে প্রতিবাদ সংগঠিত করার অভিযোগে তাদের ঘুষি মারা হয় লাঠি দিয়ে মারধর করা হয়। বৈদ্যুতিক তার ও চাবুক দিয়েও তাদের মারা হয়েছে।

ফটোগ্রাফার নেমাতুল্লাহ নকদি এএফপিকে বলেন, "একজন তালিবান আমার মাথার উপর পা দিয়ে চেপে ধরে রাখে, দেয়ালে আমার মুখ ঘষে দিয়েছিল। তারা আমার মাথায় লাথি মেরেছে ... আমি ভেবেছিলাম তারা আমাকে মেরে ফেলবে।"

অন্তর্ভুক্তিমূলক শাসনের প্রতিশ্রুতি দেয়া সত্ত্বেও, তালিবান তাদের শাসনের বিরুদ্ধে বিরোধী দলের কণ্ঠকে রুদ্ধ করছে।

বুধবার রাতে তারা ঘোষণা করে বিচার মন্ত্রকের অনুমতি ব্যতিত অন্য সব বিক্ষোভ অবৈধ।

নাকদি এবং তার সহকর্মী তাকি দারিয়াবি, যিনি একজন সংবাদদাতা যারা উভয়েই ইতিলাত রোজ (দৈনিক তথ্য)তে কাজ করেন, কাবুলের একটি থানার সামনে কাজ ও শিক্ষার অধিকারের দাবিতে নারীদের একটি ছোট বিক্ষোভের খবর সংগ্রহের দায়িত্ব পালন করছিলেন।

নাকদি জানান, ছবি তোলা শুরু করার সঙ্গে সঙ্গে একজন তালিবান যোদ্ধা তাকে বাধা দিতে আরম্ভ করে।

নাকদি বলেন, "তারা আমাকে বলে 'আপনি ভিডিও করতে পারবেন না।"

তিনি এএফপিকে জানান, "যারা ছবি তুলছিল তাদের সবার কাছ থেকে মোবাইল ফোন কেড়ে নিয়ে গ্রেফতার করা হয়।"

নাকদি বলেন, তালিবান তার ক্যামেরা ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেছিল, কিন্তু ভিড়ের মধ্যে তিনি অন্য কারো হাতে তুলে দিতে পেরেছিলেন।

কিন্তু তিনজন তালিবান যোদ্ধা তাকে ধরে ফেলে এবং থানায় নিয়ে মারধর শুরু করে।

এএফপির পক্ষ থেকে এই বিষয়ে মন্তব্য করার জন্য তালিবান কর্মকর্তাদের যোগাযোগ করা হলে তারা এতে কোন সাড়া দেয়নি।

XS
SM
MD
LG