ইউক্রেন বিষয়ক বৈঠকের আগে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেন্সকিকে বহনকারী বিমান শনিবার (১ মার্চ) লন্ডনের বিমানবন্দরে অবতরণ করেছে।
ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী কির স্টারমার ইউরোপীয় নেতাদের সাথে এই বৈঠকের আয়োজন করেছেন যেখানে ইউক্রেন ও নিরাপত্তা নিয়ে তারা আলোচনা করবেন। রবিবার এই বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে।
শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেন্সকির মধ্যে অনুষ্ঠিত বৈঠক, যার লক্ষ্য ছিল ইউক্রেনের ’রেয়ার’ খনিজ সম্পদ যুক্তরাষ্ট্রকে ব্যবহারের অনুমতি প্রদান, শেষ পর্যন্ত দুই নেতার মধ্যে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়ে পর্যবসিত হয় এবং ট্রাম্প জেলেন্সকিকে বলেন, “হয় আপনি চুক্তি করবেন, নইলে আমরা এ থেকে বেরিয়ে যাচ্ছি”।
বৈঠকের পর সামাজিক মাধ্যমে ট্রাম্প এ রকম আভাস দেন যে প্রস্তাবিত চুক্তিটি হচ্ছে না।
ট্রাম্প লেখেন, “আমি বুঝতে পেরেছি যে আমেরিকা সম্পৃক্ত থাকলে প্রেসিডেন্ট জেলেন্সকি শান্তির জন্য প্রস্তুত নন কারণ তিনি মনে করেন আমাদের সম্পৃক্ততা তাকে দরকষাকষিতে বড় রকমের সুযোগ করে দেয়। তিনি যুক্তরাষ্ট্রকে তার মর্যাদাপূর্ণ ওভাল অফিসে অসম্মানিত করেছেন। তিনি যখন শান্তির জন্য প্রস্তুত হবেন, তিনি ফিরে আসতে পারেন”।
জেলেন্সকি নির্দিষ্ট সময়ের আগেই হোয়াইট হাউস ত্যাগ করেন এবং পূর্ব নির্ধারিত যৌথ সংবাদ সম্মেলন বাতিল করা হয়।
এই বৈঠক আকস্মিক ভাবে বন্ধ হওয়া সত্বেও, ইউক্রেনের নেতা আমেরিকান জনগণ ও যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বের উদ্দেশে সামাজিক মাধ্যমের আশ্রয় নেন।
তিনি সামাজিক মাধ্যম এক্স প্ল্যাটফর্মে বলেন, “ধন্যবাদ আমেরিকা। ধন্যবাদ যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট, কংগ্রেস ও আমেরিকান জনগণ। ইউক্রেনের প্রয়োজন ন্যায় সঙ্গত ও স্থায়ী শান্তি, আর আমরা ঠিক সে লক্ষ্যেই কাজ করছি।”
শুক্রবারের ঘটনাবলীর পর ইউরোপীয় নেতৃবৃন্দ ইউক্রেনের পাশে দাঁড়ানোর অঙ্গীকার করেছেন।