অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

জাতিসংঘ বলছে, যুদ্ধবিধ্বস্ত কঙ্গো থেকে পালানো ৪০ হাজার মানুষের ঢল বুরুন্ডির মানবিক সংকট বাড়িয়ে তুলেছে


বুরুন্ডি দ্রুত অবনতিশীল মানবিক সংকটের সম্মুখীন হচ্ছে কেননা গণপ্রজাতন্ত্রী কঙ্গোর (ডিআরসি) পূর্বাঞ্চলে চলমান সংঘর্ষ থেকে বাঁচতে দুই সপ্তাহে ৪০ হাজারের বেশি মানুষ সেখানে আশ্রয় নিয়েছে; শুক্রবার এমনটাই জানিয়েছে জাতিসংঘ। ২১ ফেব্রুয়ারি।

বুরুন্ডিতে ইউএনএইচসিআরের প্রতিনিধি ব্রিজিট মুকাঙ্গা-এনো জেনেভাতে সংবাদদাতাদের বলেন, চলতি সপ্তাহের শুরুতে ৯ হাজারের বেশি মানুষ ডিআরসি সীমান্ত অতিক্রম করে বুরুন্ডিতে প্রবেশ করেছে।

কঙ্গোর পূর্বাঞ্চলে এক দশকের বেশি সময় ধরে চলা দীর্ঘ সংঘাতে এম২৩-র বাড়বাড়ন্ত সবচেয়ে ভয়াবহ ঘটনা এবং এর শিকড় রয়েছে ১৯৯৪ সালে রোয়ান্ডায় ছড়িয়ে পড়া গণহত্যার মধ্যে।

কঙ্গো,জাতিসংঘ ও পশ্চিমা শক্তিগুলির অভিযোগ, যে রোয়ান্ডা মি২৩-কে অস্ত্র ও সৈন্য দিয়ে সাহায্য করছে, রোয়ান্ডা সেই অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে বলছে, হুতু মিলিশিয়ার হুমকির বিরুদ্ধে তারা নিজেদের রক্ষা করছে। রোয়ান্ডার দাবি, এই মিলিশিয়া কঙ্গোর সামরিক বাহিনীর সঙ্গে লড়াই করছে।

জাতিসংঘের ভাষ্য অনুযায়ী, বুরুন্ডির উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে বেশ কিছু এলাকায় মানুষ উপচে পড়ছে; এদের অনেকে বেশ কয়েকবার বাস্তুচ্যুত হয়েছে এবং আহত হয়ে বা হাম ইত্যাদির মতো অসুস্থতা নিয়ে তারা এখানে পৌঁছেছে।

ইউএনইএচসিআর বাস্তুচ্যুতদের অন্যত্র স্থানান্তরিত করার পরিকল্পনা করছে। খোলা স্টেডিয়াম, স্কুল, গির্জা বা মানবিক সেবাযত্ন ও পরিষেবা দেওয়া যায় এমন জায়গায় অস্থায়ীভাবে তাদের রাখা হচ্ছে। (রয়টার্স)

XS
SM
MD
LG