যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প রবিবার বলেছেন, কলোম্বিয়া সরকার বহিষ্কার করা অভিবাসী বহনকারী দুটি বিমান প্রত্যাখ্যান করায় কলোম্বিয়ার বিরুদ্ধে শুল্ক, ভিসা নিষেধাজ্ঞা এবং অন্যান্য প্রতিশোধমূলক পদক্ষেপ নেয়া হবে।
ট্রাম্প বলেন এই পদক্ষেপগুলো জরুরী, কারণ কলোম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট গুস্তাভো পেট্রো’র সিদ্ধান্ত যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা “ঝুঁকিতে” ফেলে দিয়েছে।
“এই পদক্ষেপগুলো শুরু মাত্র,” ট্রাম্প তাঁর সামাজিক মাধ্যম ট্রুথ সোশালে লেখেন। “যে অপরাধীদের তারা যুক্তরাষ্ট্রে ঠেলে দিয়েছে, তাদের ফেরত নিতে তাদের আইনগত দায়িত্ব আমরা কলোম্বিয়ান সরকারকে লঙ্ঘন করতে দেবো না।”
রবিবার আগের দিকে পেট্রো বলেন যে, ট্রাম্প প্রশাসন যতক্ষণ পর্যন্ত না একটা পদ্ধতি তৈরি করছে যেখানে অভিবাসীদের সাথে “সম্মান” দিয়ে আচরণ করা হয়, ততক্ষণ পর্যন্ত তাঁর সরকার যুক্তরাষ্ট্র থেকে বহিষ্কার করা অভিবাসী বহনকারী বিমান গ্রহণ করবে না।
পেট্রো সামাজিক মাধ্যম এক্স-এ দেয়া দুটো পোস্টে তাঁর ঘোষণা দেন, যাদের একটিতে একটি নিউজ ভিডিও ছিল, যেখানে ব্রাজিলে পাঠানো অভিবাসীদের বিমান বন্দরের টারম্যাকে ডাণ্ডা-বেড়ি পরিহিত অবস্থায় হাঁটতে দেখা যায়।
“একজন অভিবাসী অপরাধী নয় এবং একজন মানুষের যে সম্মান প্রাপ্য, তাদের সাথে সেরকম সম্মানের সাথে আচরণ করতে হবে,” পেট্রো বলেন। “সেজন্য আমি কলোম্বিয়ান আভিবাসী বহনকারী যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বিমান ফেরত পাঠাই।”
কলোম্বিয়া ২০২০ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত ৪৭৫টি অভিবাসী বহনকারী বিমান গ্রহণ করে। ফ্লাইট পরিসংখ্যান সংগ্রহকারী সংস্থা উইটনেস অ্যাট দ্য বর্ডার-এর তথ্য অনুযায়ী, সংখ্যা তালিকায় কলোম্বিয়া পঞ্চম, তাদের আগে রয়েছে গুয়াতেমালা, হন্ডুরাস, মেক্সিকো এবং এল সালভাদর।
কলোম্বিয়ায় ফেরত পাঠানোর জন্য যে পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়, তা নিয়ে দ্য অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস-এর প্রশ্নের জবাব যুক্তরাষ্ট্রের সরকার তাৎক্ষণিকভাবে দেয়নি।