বৃহস্পতিবার ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী জানায়, তারা পশ্চিম তীরে একটি বাসে প্রাণঘাতী হামলায় জড়িত দুজন ইসলামিক জিহাদীকে হত্যা করেছে।
ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী জানায়, বুরকিন গ্রামে জঙ্গিরা একটি ভবনে নিজেদের অবরুদ্ধ করে রাখার পর গুলি বিনিময়ের সময় তাদের সেনারা জঙ্গিদের হত্যা করে।
হামলায় একজন ইসরায়েলি সেনা আহত হয়েছে বলে জানায় দেশটির সামরিক বাহিনী।
ইসরায়েলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ বৃহস্পতিবার এই অভিযানের প্রশংসা করেছেন। তিনি বলেন, পশ্চিম তীরের জেনিন শরণার্থী শিবিরে সন্ত্রাসীদের লক্ষ্য করে ইসরায়েল তার অভিযান অব্যাহত রাখবে যাতে এটি হামলার ঘাঁটিতে পরিণত না হয়।
গাজায় হামাসের সাথে যুদ্ধবিরতি শুরুর কয়েকদিন পর মঙ্গলবার এ অভিযান শুরু করে ইসরায়েল।
২০২৩ সালের অক্টোবরে ইসরায়েলে হামাসের হামলা এবং গাজায় ইসরায়েলের পাল্টা হামলার পর ইসরায়েল অধিকৃত পশ্চিম তীরে সহিংসতা বেড়েছে।
ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা বলছেন, ওই সময়ে পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি হামলা এবং ইসরায়েলি বসতি স্থাপনকারীদের হামলায় আট শতাধিক ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। ইসরায়েলি সেনাবাহিনী বলছে, সেনাসহ অন্তত ২৯ জন ইসরায়েলি নিহত হয়েছে।
গাজা যুদ্ধ হামাসের হামলার মাধ্যমে শুরু হয়েছিল। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর জঙ্গিরা ১,২০০ জনকে হত্যা করেছিল এবং ২৫০ জনকে জিম্মি করেছিল।
গাজায় ইসরায়েলের পাল্টা হামলায় ৪৭ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছে, যাদের অধিকাংশই নারী ও শিশু।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, নতুন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও বুধবার ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সাথে টেলিফোনে কথা বলার সময় অবশিষ্ট জিম্মিদের মুক্ত করতে ইসরায়েলকে সহায়তা করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ট্যামি ব্রুস এক বিবৃতিতে বলেন, রুবিও হামাস ও হিজবুল্লাহর বিরুদ্ধে ইসুরায়েলের সাফল্যের জন্য প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দর জানান। রুবিও উল্লেখ করেন, প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের অধীনে ইসরায়েলের প্রতি অবিচল সমর্থন বজায় রাখা যুক্তরাষ্ট্রের একটি শীর্ষ অগ্রাধিকার।
যুক্তরাষ্ট্র ১৯৯৭ সালে হামাসকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে চিহ্নিত করে। ইসরাইল, মিশর, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং জাপানও হামাসকে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হিসেবে বিবেচনা করে।
এই প্রতিবেদনে কিছু তথ্য এপি, রয়টার্স এবং এএফপি থেকে নেয়া হয়েছে।