বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল রয়েছে। রবিবার (১৩ জানুয়ারি) তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক এ জেড এম জাহিদ হোসেন এমন তথ্য দিয়েছেন।
যুক্তরাজ্যের দ্য লন্ডন ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন খালেদা জিয়া সম্পর্কে তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক বলেন, "তার স্বাস্থ্যের রুটিন পরীক্ষা প্রতিদিনই চলছে। সোমবার বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের পরামর্শে বিশেষ কিছু পরীক্ষা করা হতে পারে। হাসপাতালে খালেদা জিয়াকে দেখেছেন বিখ্যাত হেপাটোলজিস্ট অধ্যাপক জন প্যাট্রিক কেনেডি।"
চিকিৎসক ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য জানিয়েছেন, হাসপাতালে ভর্তির পরেই খালেদা জিয়ার ফিজিওথেরাপি করানো হয়েছে। এতে তার শারীরিক অবস্থার আরও উন্নতি হয়েছে।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার স্ত্রী জুবাইদা রহমান হাসপাতালে চিকিৎসাধীন খালেদা জিয়ার সার্বক্ষণিক পরিচর্যা করছেন বলেও জানান জাহিদ হোসেন।
উন্নত চিকিৎসার জন্য গেল ৮ জানুয়ারি খালেদা জিয়া লন্ডনে যান। ওই দিনই হিথরো বিমানবন্দর থেকে সরাসরি বিশেষায়িত হাসপাতাল দ্য লন্ডন ক্লিনিকে তাকে ভর্তি করা হয়।
এরই মধ্যে খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের বিভিন্ন পরীক্ষা করা হয়েছে। সেই পরীক্ষার ফলাফলের ওপর ভিত্তি করে তার চিকিৎসা চলছে।
লিভার সিরোসিস, কিডনি, হৃদরোগ, ডায়াবেটিস ও আর্থ্রাইটিসসহ শারীরিক নানা অসুস্থতায় ভুগছেন ৭৯ বছর বয়সী খালেদা জিয়া।
৭ জানুয়ারি বাংলাদেশ সময় রাতে কাতারের আমিরের পাঠানো এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করেন খালেদা জিয়া।
লন্ডন পৌঁছানোর পর খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য যুক্তরাজ্যের বিশেষায়িত হাসপাতাল লন্ডন ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়।
দীর্ঘদিন থেকে বিভিন্ন শারীরিক জটিলতা নিয়ে অসুস্থ খালেদা জিয়াকে বিদেশ নিয়ে যেতে কয়েক বছর থেকে চেষ্টা চালাচ্ছিলেন তার পরিবারের সদস্যরা।
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর দেশের রাজনৈতিক পটপরিবর্তন হলে বিদেশ গিয়ে তার চিকিৎসা নেওয়ার পথ সুগম হয়।
লন্ডনে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে যুক্তরাষ্ট্রের মেরিল্যান্ডের জন হপকিনস বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য যাবেন খালেদা জিয়া।