সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) সাম্প্রতিক তৎপরতা ও কর্মকাণ্ডে বাংলাদেশ সরকারের উদ্বেগের কথা জানিয়েছেন পররাষ্ট্র সচিব জসীম উদ্দিন।
রবিবার (১২ জানুয়ারি) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ঢাকায় নিযুক্ত দেশটির হাইকমিশনার প্রণয় কুমার ভার্মার কাছে এই উদ্বেগের কথা তুলে ধরেন তিনি।
কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণ চেষ্টাসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন অনুমোদনহীন কার্যক্রমে সীমান্তে উত্তেজনা বাড়ছে ও সমস্যা তৈরি হচ্ছে জানিয়ে জসীম উদ্দিন বলেন, "এতে প্রতিবেশী দুদেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ও সহযোগিতার চেতনা ক্ষুণ্ণ হচ্ছে।"
আসন্ন বিজিবি-বিএসএফ মহাপরিচালক (ডিজি) পর্যায়ের বৈঠকে এ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি এই বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে।
প্রণয় ভার্মার বক্তব্য
সীমান্তে অপরাধ দমনে দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মধ্যে যে সমঝোতা রয়েছে, সহযোগিতার মনোভাব নিয়ে তা বাস্তবায়ন করা হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় কুমার ভার্মা।
অপরাধমুক্ত সীমান্ত নিশ্চিতে ভারতের অঙ্গীকারের বিষয়ে আলোচনা করেন হাইকমিশনার। তিনি বলেন, “এতে দুই দেশের সীমান্তে থাকা প্রতিকূলতাগুলো কার্যকরভাবেই সমাধান হবে।”
সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া নিয়ে একটি সমঝোতার কথা উল্লেখ করে এই কূটনীতিক বলেন, “দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ ও বিজিবির মধ্যে যোগাযোগ অব্যাহত আছে।”
এছাড়া সীমান্তে চোরাচালানের সংকট নিরসনের প্রতিকূলতাগুলোও নিয়েও কথা বলেন ভারতীয় হাইকমিশনার।
সীমান্ত হত্যার পুনরাবৃত্তি
সম্প্রতি সুনামগঞ্জে এক বাংলাদেশি নাগরিক বিএসএফের হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন। সেই উদহারণ তুলে ধরে সীমান্ত হত্যার পুনরাবৃত্তির ঘটনায় উদ্বেগ ও অসন্তোষ প্রকাশ করেন জসীম উদ্দিন।
সীমান্তে হত্যাকাণ্ড বন্ধে জরুরি পদক্ষেপ এবং তদন্ত করে দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ভারতীয় কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
সীমান্তে অ-প্রাণঘাতী কৌশল ও হত্যাকাণ্ড বন্ধে বারবার অঙ্গীকার করেও একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ‘গভীর উদ্বেগের বিষয়’ বলে উল্লেখ করেন পররাষ্ট্র সচিব।
সীমান্তে উত্তেজনা বাড়ে এমন উসকানিমূলক পদক্ষেপ থেকে বিরত থাকতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে পরামর্শ দিতে ভারত সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।