ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ে স্টেশনের টোল প্লাজায় গতকাল শুক্রবার রাতে তিনটি গাড়িকে চাপা দেওয়ায় ৬ জন নিহতের ঘটনায় ঘাতক যাত্রীবাহী বাসের চালককে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) র্যাবের গণমাধ্যম শাখার পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মুনিম ফেরদৌস জানান, শুক্রবার রাতে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ থেকে চালক নুর উদ্দিনকে গ্রেপ্তার করা হয় ।
তিনি জানান, "দুর্ঘটনার পর নুর উদ্দিন সিদ্ধিরগঞ্জে আত্মগোপনে ছিলেন। খবর পেয়ে পুলিশ অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে।"
এদিকে র্যাব-১০ এর সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার তাপস কর্মকার চালক নুরুদ্দিনকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করেন। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাপস কর্মকার বলেন, “সে বলেছে গাড়িটি তখন থামাতে চেয়েছিল, কিন্তু ব্রেক কাজ করছিল না। দুর্ঘটনার পর ধাক্কা খেয়ে গাড়ির ইঞ্জিনটি বন্ধ হয়ে থেমে গিয়েছিল। পরে লোকজন জড়ো হলে অবস্থা বেগতিক দেখে সে পালিয়ে যায় বলে জানিয়েছে।”
চালক নুরুদ্দিনের ড্রাইভিং লাইসেন্স থাকলেও সেটি ছিল মেয়াদোত্তীর্ণ জানিয়ে র্যাবের এই কর্মকর্তা বলেন, “২০২২ সালে লাইসেন্সটির মেয়াদ শেষ হয়ে গিয়েছে, কিন্তু তারপর সেটির আর রিনিউ করেননি তিনি।”
"চালক নুর উদ্দিন স্বীকার করেছেন যে, তিনি গাঁজা সেবন করতেন। তবে গতকাল বাস চালানোর সময় তিনি নেশাগ্রস্ত ছিলেন না বলে জানিয়েছেন," বলেন এই র্যাব কর্মকর্তা।
গতকাল শুক্রবার সকালে টোল প্লাজায় বেপারী পরিবহনের দ্রুতগামী একটি বাস মাওয়াগামী একটি প্রাইভেটকারকে পেছন থেকে ধাক্কা দিলে ঘটনাস্থলেই একই পরিবারের পাঁচজন নিহত হন।
একই সময়ে বাসটি মাইক্রোবাস ও একটি মোটরসাইকেলকে ধাক্কা দিলে আরও চারজন আহত হন। আহতদের মধ্যে পরে আরও একজন মারা যান।
তখন বাসটি জব্দ করা হলেও বাসের চালক ও সহকারীরা পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়।