দেশব্যাপী ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকায় যাত্রীরা রাজধানী ঢাকার এক রেলস্টেশনে অপেক্ষা করছেন। মঙ্গলবার, ২৮ জানুয়ারি, ২০২৫।
রেল শ্রমিকরা পেনশন বৃদ্ধি ও অন্যান্য সুবিধার দাবিতে ধর্মঘট শুরু করায় এই পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে।
মঙ্গলবার বাংলাদেশ জুড়ে ট্রেন চলাচল বিঘ্নিত হবার কারণে হাজার হাজার যাত্রী ও পণ্য পরিবহন বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে।
রাষ্ট্র পরিচালিত রেল ব্যবস্থা প্রতি বছর প্রায় ৬.৫ কোটি যাত্রী পরিবহন করে, যা ১৭ কোটি মানুষের ঘনবসতিপূর্ণ এই দেশের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পরিসেবা। এটির প্রায় ২৫,০০০ কর্মচারী আছে এবং ৩৬,০০০ কিলোমিটার (বা ২২,০০০ মাইল) দীর্ঘ নেটওয়ার্ক পরিচালনা করে।
কর্তৃপক্ষ বিকল্প হিসেবে বাসের ব্যবস্থা করেছিল, কিন্তু এত মানুষের জন্য তা যথেষ্ট ছিল না।
রাজধানীর প্রধান রেলওয়ে স্টেশন কমলাপুরে ধর্মঘটের খবর না জানায় শত শত হতাশ যাত্রী জড়ো হন। তাদের মধ্যে অনেকেই ঘরে ফেরার আগে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করেছিলেন।
মাইলেজের ভিত্তিতে পেনশন ও আনুতোষিক দেওয়া এবং নিয়োগপত্রের দুই শর্ত প্রত্যাহারের দাবিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতিতে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন রেলওয়ে কর্মীরা। ২৭ জানুয়ারির মধ্যে দাবি মানার সময়সীমা বেঁধে দিয়েছিলেন। দাবি না মানায় তাঁদের কর্মবিরতির কারণে মধ্যরাত থেকে ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
রেলওয়ের স্টাফদের মধ্যে আছেন ট্রেনের চালক, সহকারী চালক, গার্ড ও টিকিট পরিদর্শকরা।
বাংলাদেশ রেলওয়ে রানিং স্টাফ ও শ্রমিক কর্মচারী সমিতির নির্বাহী সহসভাপতি সাইদুর রহমানকে উদ্ধৃত করে দ্য ডেইলি স্টার লিখেছে, "রাত ১২টার এক মিনিটে আমাদের কর্মবিরতি শুরু হয়েছে। নতুন করে আর কোনো ট্রেন চলবে না। তবে যেসব ট্রেন রাত ১২টার আগে ছেড়ে গেছে, সেগুলো যাত্রীদের গন্তব্যে পৌঁছে দেবে।"