উইসকনসিনের কমিউনিটির সদস্যরা শোকে মূহ্যমান। তারা স্কুলে এই গুলিবর্ষণের পর পরিবর্তনের আহ্বান জানিয়েছেন। সেখানে একটি স্কুলে একজন শিক্ষক ও একজন শিক্ষার্থী নিহত এবং আরও ছয় জন আহত হয়েছেন।
আগের দিন ম্যাডিসনের অ্যাবান্ডেন্ট লাইফ খ্রীষ্টান স্কুলে নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে মঙ্গলবার রাতে উইসকনসিন স্টেট ক্যাপিটলের বাইরে কয়েকশো মানুষ সমেবত হন। তারা প্রজ্জ্বলিত মোমবাতি একে অপরের হাতে দিয়ে ভয়ংকর শীতের মধ্যেও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন।
উপস্থিত লোকজনের মধ্যে ছিলেন ১৬ বছর বয়সী নাওমি অ্যালেন। সোমবার যখন ১৫ বছর বয়সে একটি মেয়ে স্টাডি হলে নিজেকে গুলি করে মেরে ফেলার আগে লোকজনকে আক্রমণ করে তখন নাওমি কাছের একটি ক্লাসরুমে ছিলেন।
সমাবেশে অ্যালেন বলেন, “ আপনি কে বা আপনি কোথায় আছেন তা বিবেচ্য নয়। এরকম কিছু ঘটতে পারে। কিছুতেই কাউকে ছাড় দেয়া হবে না।”
মেডিসনের পুলিশ প্রধান শন বার্নেস, মঙ্গলবার জনগণকে একটি টিপ লাইনে ফোন করার এবং বন্দুকধারী সম্পর্কে তারা যা জানে তা জানানোর আহ্বান জানিয়ে বলেন, গুলি চালানোর উদ্দেশ্যটি “ অনেকগুলো কারণের সংমিশ্রণ” বলে মনে হচ্ছে।
কি কি কারণ হতে পারে সে সম্পর্কে তিনি বিস্তারিত কিছু বলেননি, তবে তিনি বলেন অ্যাবান্ডান্ট লাইফ খ্রিস্টান স্কুলে বুলিং-এর বিষয়টি তদন্ত করা হবে। তিনি আরো বলেন, পুলিশ বন্দুকধারী নাটালি রুপোনোর হাতের লেখা হতে পারে এবং তার কর্মকাণ্ড সম্পর্কে আলোকপাত করতে পারে এমন লেখাগুলো তদন্ত করে দেখছে।
এই স্কুলে গুলি চালনার ঘটনা সর্বসাম্প্রিতক তবে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে আরও প্রাণনাশী ঘটনা ঘটেছে যার মধ্যে রয়েছে কানেটিকাটের নিউটাউন, ফ্লোরিডার পার্কল্যান্ড, এবং টেক্সাসের উভালদে।
এই গোলাগুলির ঘটনা বন্দুক নিয়ন্ত্রণ নিয়ে তীব্র বিতর্কের সূচনা করেছে এবং যে সকল অভিভাবকের সন্তানেরা তাদের শ্রেণীকক্ষে সক্রিয় শুটার ড্রিল করতে অভ্যস্ত হয়ে বেড়ে উঠেছে তাদের মানসিক ভাবে বিপর্যস্ত করে তুলেছে। কিন্তু স্কুলে বন্দুক হামলার ঘটনা জাতীয় বন্দুক আইনে সামান্যই প্রভাব ফেলতে পেরেছে।