হোয়াইট হাউস বলেছে, সিরিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের এখন অগ্রাধিকার হচ্ছে দেশটির সংঘাত যেন জঙ্গি গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের পুনরুত্থান না ঘটে বা 'মানবিক বিপর্যয়' ডেকে না আনে তা নিশ্চিত করা।
শনিবার এক বিবৃতিতে আরও বলা হয়, “প্রেসিডেন্ট বাইডেন ও তার দল সিরিয়ার অস্বাভাবিক ঘটনাবলী নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছেন এবং সেখানে আঞ্চলিক অংশীদারদের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখছেন।”
যুদ্ধের ঢেউ বাইরে এসে যাওয়ার সম্ভাবনা "একটি উদ্বেগের বিষয়," হোয়াইট হাউস জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জেক সালিভান বলেন, বিশেষ করে আইসিসি নামে পরিচিত তথাকথিত ইসলামিক ষ্টেট নিয়ে আছে বিশেষ উদ্বেগ।
সিরিয়ার দীর্ঘস্থায়ী গৃহযুদ্ধের বিভিন্ন পর্যায়ের "সব চেয়ে খারাপ সময়ে আমরা আইসিসের ব্যাপক তৎপরতা দেখেছি," তিনি ক্যালিফোর্নিয়ার সিমি ভ্যালিতে রিগ্যান ন্যাশনাল ডিফেন্স ফোরাম পরিচালিত এক সম্মেলনে বলেন।
"সিরিয়ার লড়াই যেন তা ঘটার সুযোগ না দেয় তা নিশ্চিত করাই আমাদের অগ্রাধিকার পাবে," সালিভান বলেন। " তা নিশ্চিত করতে আমরা সরাসরি এবং সিরিয়ান ডেমোক্রেটিক ফোর্সেস, কুর্দিদের সঙ্গে কাজ করে নিজেরাই পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছি।”
দ্য অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস জানাচ্ছে, সিরিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রায় ৯০০ সেনা রয়েছে, যাদের মধ্যে কিছু বাহিনীও ইসলামিক স্টেট বা আইএসআইএস গ্রুপের পুনরুত্থান ঠেকাতে বিরোধী-নিয়ন্ত্রিত উত্তর-পূর্বাঞ্চলে কুর্দি মিত্রদের সাথে কাজ করছে।
যুক্তরাষ্ট্রের স্পেশাল অপারেশন্স কমান্ড-এর প্রধান জেনেরাল ব্রায়ান ফেন্টন এপিকে বলেন, সিরিয়ার টালমাতাল পরিস্থিতি দেশে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক উপস্থিতির উপর কী প্রভাব ফেলতে পারে, তা নিয়ে তিনি কোন অনুমান করতে চান না। "কিছু বলার এখনো সময় হয়নি," তিনি বলেন।
(এই রিপোর্টের কিছু তথ্য দ্য অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস থেকে নেয়া হয়েছে)