অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

সাজেকে গোলাগুলি, আটকা পড়েছেন পাঁচ শতাধিক পর্যটক


এক দিনের জন্য সাজেক ভ্রমণে নিরুৎসাহিত করেছে জেলা প্রশাসন। ৪ ডিসেম্বর, ২০২৪।
এক দিনের জন্য সাজেক ভ্রমণে নিরুৎসাহিত করেছে জেলা প্রশাসন। ৪ ডিসেম্বর, ২০২৪।

পার্বত্য শান্তি চুক্তির অনুষ্ঠানে আসা না আসা নিয়ে পার্বত্য চট্টগ্রামের আঞ্চলিক দুটি দলের মধ্যে দফায় দফায় বন্দুকযুদ্ধ চলছে। ফলে সাজেকে পাঁচ শতাধিক পর্যটক আটকা পড়েছেন।

পর্যটকদের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে বুধবার (৪ ডিসেম্বর) এক দিনের জন্য সাজেক ভ্রমণে নিরুৎসাহিত করেছে জেলা প্রশাসন।

মঙ্গলবার রাতে রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট জোবায়দা আক্তার এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, এলাকা নিয়ন্ত্রণে কয়েক দিন ধরে সাজেক ও মাচালং এলাকায় দুই অঞ্চলিক দল—সন্তু লারমার নেতৃত্বাধীন জেএসএস ও প্রসীত খীসার নেতৃত্বাধীন ইপিডিএফ দফায় দফায় গোলাগুলি করেছে।

আঞ্চলিক দুই দলের মধ্যে বন্দুকযুদ্ধের ঘটনায় ১ জনের প্রাণহাণির খবর পাওয়া গেলেও দুর্গম এলাকা হওয়ায় প্রশাসনের কেউ তা নিশ্চিত করতে পারেনি।

সাজেকে আটকে পড়া যানবাহনের চালকেরা বলেন, সকালে খাগড়াছড়ি থেকে ২৭টি গাড়ি সাজেক গেছে। এই গাড়িগুলোতে করে আসা প্রায় ৪ শতাধিক পর্যটক সাজেকে অবস্থান করছে।

দুই আঞ্চলিক দলের মধ্যে কয়েক দিন ধরে গোলাগুলির ঘটনা ঘটছে। তবে মঙ্গলবার সকাল থেকে এই গোলাগুলির ঘটনা আরও বেড়ে যায়। তাই পর্যটকদের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে বিকালে কোনো পর্যটক গাড়ি সাজেক থেকে খাগড়াছড়ি আসেনি।

সাজেক রিসোর্ট মালিক সমিতির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মতিজয় ত্রিপুরা জানান, সাজেক ও মাচালং সড়কের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের শীপপাড়া নামক এলাকায় এই গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। ওই এলাকা পর্যটন কেন্দ্র থেকে প্রায় ২০ কিলোমিটার দূরে। এই গোলাগুলির ঘটনার কারণে কোনো গাড়ি ছেড়ে যায়নি। মঙ্গলবার রাতে প্রায় পাঁচ শতাধিক পর্যটক সাজেক অবস্থান করেন।

রাঙ্গামটির জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন খান জানান, দুই আঞ্চলিক দলের গোলাগুলির ঘটনায় পর্যটকদের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে বুধবার এক দিন সাজেকে পর্যটক ভ্রমণে নিরুৎসাহিত করা হয়েছে। পরিস্থিতি বিবেচনা করে পরে এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। যারা আছেন তাদের পরিস্থিতি বিবেচনা করে নিরাপদে ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।

XS
SM
MD
LG