ক্যারিবীয় অঞ্চলের কিংস্টন সাবিনা পার্কে দ্বিতীয় টেস্টে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ১০১ রানে হারিয়ে দুই ম্যাচের সিরিজে ১-১ সমতা এনেছে বাংলাদেশ।
২০০৯ সালের পর ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে এটি বাংলাদেশের প্রথম টেস্ট জয়। এই সিরিজে বাঁহাতি স্পিনার তাইজুল ইসলাম এবং ব্যাটার জাকের আলী তারকা খেলোয়ার হিসাবে আবির্ভূত হন।
স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) কিংস্টনে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে ২৮৭ রানের লক্ষ্য অর্জন করতে নেমে ১৮৫ রানে গুটিয়ে যাওয়া ওয়েস্ট ইন্ডিজকে গুঁড়িয়ে দিতে ৫০ রানে ৫ উইকেট নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন তাইজুল
টেস্টে এটি তাইজুলের ১৫তম এবং ক্যারিবিয়ান মাটিতে তাঁর প্রথম পাঁচ উইকেট শিকার। তাঁকে সমর্থন করেন পেসার হাসান মাহমুদ, তাসকিন আহমেদ ও নাহিদ রানা। তারা সম্মিলিতভাবে আরও উইকেট নেন।
দ্বিতীয় ইনিংসে জাকের আলীর দ্রুত করা ৯১ রান ইনিংসে বাংলাদেশকে এগিয়ে দেয়।
৫ উইকেটে ১৯৩ রানে চতুর্থ দিন শুরু করা জাকের সকালের সেশনে দলের ৭৫ রানের মধ্যে ৬২ রান নেন। দিনের শুরুতে আলজারি জোসেফের হেলমেটে আঘাত পেলেও ৫টি ছক্কা ৮টি বাউন্ডারির সাহায্যে পাল্টা আক্রমণাত্মক ইনিংস খেলেন জাকের। তাঁর প্রচেষ্টায় বাংলাদেশ ২৬৮ রানে পৌঁছে চ্যালেঞ্জিং টার্গেট নির্ধারণ করে।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ লক্ষ্য অর্জনের প্রতিশ্রুতিবদ্ধ চেষ্টায় শুরু করে অধিনায়ক ক্রেইগ ব্র্যাথওয়েট ৪৩ ও কাভেম হজ ৫৫ রান করেন।
কিন্তু তাইজুলের স্পিন ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রধান ব্র্যাথওয়েট ও কামেভ হজের গুরুত্বপূর্ণ মিডল অর্ডার ভেঙে দেয়।
বাংলাদেশের বোলাররা সাবিনা পার্কের পিচের অসম বাউন্স এবং টার্নকে পুঁজি করায় মাত্র ৪২ রানে স্বাগতিক দলের শীর্ষ ৬ উইকেটের পতন ঘটায়।
প্রথম টেস্টে বড় ব্যবধানে হারের পর বাংলাদেশের জয়টি ছিল উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন।
মেহেদী বলেন, “প্রথম ইনিংসে নাহিদ, তাসকিন ও হাসান মাহমুদ অসাধারণ ভূমিকা রাখেন। দ্বিতীয় ইনিংসে তাইজুল অসাধারণ পারফর্ম করেন।”
ওয়েস্ট ইন্ডিজের জন্য পরাজয় তাদের ক্রমাগত ব্যাটিং দুর্বলতাই সামনে উঠে আসে। রানের লক্ষ্য অর্জন করতে নেমে ভালো সূচনা করলেও সুশৃঙ্খল বাংলাদেশের বোলিংয়ের বিপক্ষে লড়াই করতে পারেনি তারা।
ব্র্যাথওয়েট বলেন, “ব্যাটিং গ্রুপের ধারাবাহিকতা ও কঠোর পরিশ্রম দরকার।”
চলতি ২০২৪ সালে এটি বাংলাদেশের চতুর্থ টেস্ট জয়। এই টেস্ট ক্রিকেটে তাদের সেরা বছর হিসেবে পরিগণিত। এটি অতীতের অবস্থার তুলনায় তাদের ক্রমবর্ধমান আত্মবিশ্বাসও প্রমাণ করেছে।
দুই দলই এখন তিনটি করে ওয়ানডে ও তিনটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলবে।