যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন রবিবার ঘোষণা করেছেন, তিনি তার ছেলে হান্টারকে ক্ষমা করেছেন, যিনি এই মাসে দুটি ফেডারেল মামলায় সাজার সম্মুখীন।
বাইডেন আগে অঙ্গীকার করেছিলেন যে, এই ধরনের পদক্ষেপ তিনি নেবেন না, তবে রবিবার এক বিবৃতিতে তিনি বলেছেন, পক্ষপাতদুষ্ট ও অন্যায্য বিচারের জবাবে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
বাইডেন আরও বলেন, “কংগ্রেসে আমার রাজনৈতিক বিরোধীদের মধ্যে কয়েকজন আমাকে আক্রমণ করতে এবং আমার নির্বাচনের বিরোধিতা করার জন্য তাদের প্ররোচিত করার পরেই তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছিল।”
২০১৮ সালে বন্দুক কেনার জন্য জুন মাসে তিনটি মামলায় দোষী সাব্যস্ত হন হান্টার বাইডেন। প্রসিকিউটররা বলেছেন, তিনি ফেডারেল ফর্মে অবৈধভাবে মাদক ব্যবহার বা মাদকে আসক্ত না হওয়ার মিথ্যা দাবি করেছিলেন।
অন্তত ১৪ লক্ষ ডলার কর দিতে ব্যর্থ হওয়ার অভিযোগে একটি মামলায় তিনি দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন।
রবিবার প্রেসিডেন্টের পদক্ষেপের ফলে উভয় মামলা থেকে হান্টার বাইডেনকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে; পাশাপাশি ২০১৪ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ২০২৪ সালের ১ জানুয়ারির মধ্যে তিনি “যে সকল অপরাধ করেছেন বা করে থাকতে পারেন বা অংশ নিয়েছেন” সেগুলির জন্যও তাকে ক্ষমা করা হয়েছে।
হান্টার বাইডেন এক বিবৃতিতে বলেছেন, “আমার আসক্তির অন্ধকারতম দিনে যে ভুলগুলি করেছি তা আমি স্বীকার করেছি এবং তার দায় নিয়েছি। রাজনৈতিক পাশাখেলায় আমাকে ও আমার পরিবারকে জনসমক্ষে অসম্মানিত ও লজ্জিত করতে আমার এই ভুলগুলিকে ব্যবহার করা হয়েছে।”
প্রেসিডেন্ট বাইডেন তার বিবৃতিতে বলেছেন, তার আশা “একজন বাবা ও একজন প্রেসিডেন্ট কেন এই সিদ্ধান্তে এসেছেন তা আমেরিকানরা বুঝবেন।”
প্রেসিডেন্ট-ইলেক্ট ডনাল্ড ট্রাম্প এই পদক্ষেপের সমালোচনা করে একে “বিচারের অপব্যবহার ও ব্যর্থতা” বলে অভিহিত করেছেন।
ট্রাম্প তার প্রথম মেয়াদের শেষের দিকে তার জামাই জ্যারেড কুশনারের বাবা চার্লস কুশনারকে ক্ষমা করে দিয়েছিলেন। তিনি আরও যাদের ক্ষমা করে দিয়েছিলেন তাদের মধ্যে রয়েছেন তার জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইকেল ফ্লিন, সাবেক প্রচার ম্যানেজার পল ম্যানাফোর্ট, সাবেক প্রধান কৌশলী স্টিভ ব্যানন প্রমুখ।