বাংলাদেশের সাম্প্রতিক ছাত্র আন্দোলনের দুই শীর্ষ নেতা, হাসনাত আব্দুল্লাহ এবং সারজিস আলমের গাড়ি বহরে থাকা একটি গাড়ি বুধবার (২৭ নভেম্বর) চট্টগ্রামের লৌহগড়ায় দুর্ঘটনার কবলে পড়ে বলে স্থানীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে। তবে দুর্ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি।
বুধবার সন্ধ্যায় হাসনাত এবং সারজিস তাদের সফরসঙ্গীদের নিয়ে চট্টগ্রামে নিহত আইনজীবী সাইফুল ইসলামের গ্রামের বাড়ি থেকে ফিরছিলেন। পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে দৈনিক প্রথম আলো জানায়, গাড়ি বহর গ্রামীণ সড়ক থেকে মহাসড়কে ওঠার পর চট্টগ্রাম মুখী একটি মালবাহী ট্রাক বহরের একটি গাড়ির সামনের অংশে ধাক্কা দেয়।
তবে হাসনাত এবং সারজিস অন্য গাড়িতে ছিলেন বলে পত্রিকাটি জানায়। ধাক্কাপ্রাপ্ত গাড়িতে তাদের সফরসঙ্গী কয়েকজন ছিলেন কিন্তু তাদের কেউ আহত হননি।
ঢাকার আরেকটি পত্রিকা, দৈনিক জনকণ্ঠ, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় সমন্বয়ক খান তালাত মোহাম্মদ রাফিকে উদ্ধৃত করে জানাচ্ছে, তারা ঘটনাকে “হত্যা প্রচেষ্টা” হিসেবে গণ্য করছেন।
“শহীদ অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম আরিফ ভাইয়ের কবর জিয়ারত করে ফেরার পথে আনুমানিক সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় আমাদেরকে ট্রাক চাপা দিয়ে হত্যার চেষ্টা করা হয়,” রাফিকে উদ্ধৃত করে জনকণ্ঠ জানায়।
'আওয়ামী দোসর'
মঙ্গলবার চট্টগ্রামে সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর জামিন নামঞ্জুর হওয়াকে কেন্দ্র করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও বিক্ষুব্ধ জনতার সংঘর্ষের সময় অজ্ঞাতনামা লোকজন সাইফুল ইসলামকে কুপিয়ে হত্যা করে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখপাত্র উমামা ফাতেমাকে উদ্ধৃত করে প্রথম আলো জানিয়েছে, ট্রাকের ধাক্কা খাওয়া গাড়িতে চট্টগ্রামের সমন্বয়কেরা ছিলেন।
দুর্ঘটনার পর ট্রাক চালক পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে বলে গণমাধ্যমের খবরে জানা গেছে। তবে ছাত্র নেতাদের গাড়ি বহরের মোটরসাইকেল আরোহীরা চালক এবং তার সহকারীকে আটক পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে।
জনকণ্ঠকে দেয়া এক মন্তব্যে রাফি ট্রাক চালককে “আওয়ামী দোসর” হিসেবে আখ্যায়িত করেন, যদিও তিনি এ’ব্যাপারে কোন প্রমাণ সরবরাহ করেন নাই।