বৈরুতের দক্ষিণাঞ্চলের শহরতলিতে সোমবার বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী। হামলা করার আগে এই এলাকা খালি করতে সতর্কতা জারি করেছিল ইসরায়েল।
ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী তাদের সতর্কবার্তায় বলেছে, হিজবুল্লাহ জঙ্গিরা হারেত হ্রেইকে কার্যকলাপ চালাচ্ছে এবং এই হুঁশিয়ারির অল্প সময় পর অন্তত দুটি হামলা চালায় তেল আবিব। এই বিধ্বংসী হামলার ফলে প্রচুর ধোঁয়া আকাশে উঠতে শুরু করে।
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর এক মুখপাত্র বলেছেন, এই হামলায় হিজবুল্লাহর সামরিক কমান্ড কার্যালয়কে নিশানা করা হয়েছে।
বৈরুতে ইসরায়েলি হামলায় কমপক্ষে ২৯ জন নিহত হওয়ায় এর পাল্টা জবাবে হিজবুল্লাহ জঙ্গিরা প্রায় ২৫০টি রকেট ও অন্যান্য আগ্নেয়াস্ত্র নিক্ষেপ করে ইসরায়েলে। এই ঘটনার একদিন পর এই হামলা চালানো হয়েছে।
হিজবুল্লাহর কিছু অস্ত্র ইসরায়েলের প্রাণকেন্দ্র তেল আবিব অবধি পৌঁছেছে এবং সাতজন আহত হয়েছে। হামাস জঙ্গিদের সমর্থনে এক বছরের বেশি সময় ধরে ইসরায়েলে বোমাবর্ষণ শুরুর পর থেকে এটাই হিজবুল্লাহর অন্যতম বড় হামলা।
ইসরায়েল ও হিজবুল্লাহর লড়াই বন্ধ করতে যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে পৌঁছনোর জন্য আলোচনা ও সমঝোতা প্রক্রিয়া জারি রয়েছে। এই জঙ্গি গোষ্ঠী ও লেবাননের সরকার যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাবে সম্মতিও জানিয়েছে।
তবে, ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্র নীতি বিষয়ক প্রধান জোসেপ বরেল বলেছেন, যুদ্ধ থামানোর আশা ক্ষীণ।
লেবাননের কর্মকর্তাদের সঙ্গে একদিন ধরে বৈঠকের পর রবিবার সন্ধ্যায় বরেল সংবাদদাতাদের বলেন, “আমি নিশ্চিত নই যে, এটা ঘটতে চলেছে। যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে পৌঁছোনোর জন্য ইসরায়েলি সরকারের স্পষ্ট আগ্রহ আমি দেখছি না।”
তিনি আরও বলেন, “আমি অনেকবার শুনেছি যে, যুদ্ধবিরতি হতে চলেছে…আবার মনে হচ্ছে, ইসরায়েল নতুন শর্ত দিচ্ছে।” এই নতুন শর্তের একটা উদাহরণ হল, লেবাননের দক্ষিণাঞ্চলে আন্তর্জাতিক নজরদারি গোষ্ঠীর অংশ হোক ফ্রান্স, এমনটা চাইছে না ইসরায়েল। এই প্রসঙ্গেই বরেল মন্তব্যটি করেছেন।
তিনি বলেছেন, এই লড়াই থামানোর জন্য ইসরায়েলের “জোরালো ইচ্ছে নেই বলেই মনে হচ্ছে।”