হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে আলু ও পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ করায় ট্রাকের অনলাইন স্লট বুকিং নিচ্ছে না ভারতের পশ্চিমবঙ্গ সরকার।
সোমবার (২৫ নভেম্বর) সকাল থেকে বন্দরে প্রবেশ করতে পারেনি আলু ও পেঁয়াজবাহী ট্রাক। শুধুমাত্র আগের অনলাইন স্লট বুকিং থাকায় সকালে আলুবাহী একটি ট্রাক বন্দরে প্রবেশ করেছে।
এছাড়া অনলাইন স্লট বুকিং বন্ধ থাকায় রবিবার সন্ধ্যা থেকে বন্দরের মোকামে কেজিতে ৮-১০ টাকা বেড়ে ৬৪-৬৫ টাকায় পাইকারি দরে বিক্রি হচ্ছে ভারতীয় আলু। গত শনিবার একই মানের আলু প্রতি কেজি ৫৪-৫৫ টাকায় বিক্রি হয়।
সোমবার পর্যন্ত পেঁয়াজের দাম স্বাভাবিক রয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত রবিবার থেকে সোমবার পর্যন্ত বাংলাদেশে রপ্তানির অপেক্ষায় প্রায় ৫০-৬০টির মতো আলু ও পেঁয়াজবাহী ট্রাক ভারতের অভ্যন্তরে আটকা পড়েছে।
ভারতের হিলির রপ্তানিকারক পাপ্পু আগরওয়াল বলেন, "ভারতের পশ্চিমবঙ্গ সরকার রবিবার সকাল থেকে বাংলাদেশে রপ্তানি না করার জন্য আলু ও পেঁয়াজবাহী ট্রাকের অনলাইন স্লট বুকিং বন্ধ রাখে।"
তিনি আরও বলেন, "ইতোমধ্যে মালদা ও বালুঘাট জেলা প্রশাসকের সঙ্গে মিটিংয়ের প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে। আগে যেসব আলু ও পেঁয়াজবাহী ট্রাকের স্লট বুকিং নেওয়া হয়েছিল, শুধুমাত্র সেসব ট্রাক গত রবিবার বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে।"
তিনি জানান, এই মুহূর্তে আলু ও পেঁয়াজের রপ্তানি বন্ধ করে দেওয়া হলে উভয় দেশের ব্যবসায়ীরা আর্থিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
হিলি স্থলবন্দর আমদানি-রপ্তানিকারক গ্রুপের সহসভাপতি শহীদুল ইসলাম বলেন, "পশ্চিমবঙ্গ সরকারের হঠাৎ এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া ঠিক হয়নি। আমাদের অনেক এলসি করা আছে। আমাদের আলু ও পেঁয়াজ আমদানি করতে সুযোগ দেওয়া হোক। না হলে আমরা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হব।"
বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, পশ্চিমবঙ্গ সরকারের মুখ্যমন্ত্রীর দপ্তরকে না জানিয়ে সেখান থেকে অন্য রাজ্যে এবং বাংলাদেশে আলু ও পেঁয়াজ রপ্তানি করা হচ্ছিল।
ফলে সেখানে আলুসহ পেঁয়াজের দাম দ্রুত বাড়ছে। এমন অভিযোগ তুলে ধরে গত বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) নবান্নে সাংবাদিক সম্মেলন করে আলু ও পেঁয়াজের রপ্তানি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী ক্ষোভ প্রকাশ করেন। সেই বার্তার পরই শুক্রবার (২২ নভেম্বর) নবান্নে বৈঠকে বসে টাস্কফোর্স কমিটি। মুখ্য সচিবের সঙ্গে টাস্কফোর্সের এই বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় মুখ্যমন্ত্রীর পরবর্তী নির্দেশ না আসা পর্যন্ত ভিন্ন রাজ্যসহ বাংলাদেশে আপাতত আলু ও পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ থাকবে।